জাতীয়

না ফেরার দেশে রাজীব মীর

চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক রাজীব মীর আর নেই। দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৩৭ মিনিটে ভারতের চেন্নাইয়ের গ্লোবাল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

Advertisement

রাজীব মীরের বন্ধু ও সাবেক সহকর্মী জবি শিক্ষক চৌধুরী শহীদ কাদের এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। একই কথা জানিয়েছেন রাজীব মীরের শুভাকাঙ্ক্ষী জবি শিক্ষক নাসির উদ্দিনও।

তারা জানান, গত ১৭ জুলাই রাতে চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রাজীব মীর। এরপর লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। স্ট্রোক করার পরপরই চেন্নাইয়ের ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেন। তবে পরিবারের অনুরোধে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয় তাকে। পরে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৩৭ মিনিটে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়।

বেশ কয়েক মাস ধরে লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন তিনি। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই রোগের চিকিৎসার জন্য গত কয়েক মাস ধরে ভারতে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকতে হয়েছে রাজীব মীরের পরিবারকে। চলতি সপ্তাহে রাজীব মীরের অপারেশন ও লিভার পরিবর্তনের কথা ছিল।

Advertisement

রাজীব মীরের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শহিদুল হক লিখেছেন, ‘আমার বন্ধু রাজীব মীর আর নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহপাঠী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহকর্মী রাজীব মীর গত রাত ১:৩৭ মিনিটে ইন্তিকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’

রাজীব মীরের বন্ধু সালেহ রনক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বন্ধু, তুই কি আমার অপেক্ষায়ই প্রাণটা ধরে ছিলি? আমার কাঁধে ভর দিয়ে শেষ হাসি হাসবার জন্য, আমার আলিঙ্গনে শেষ কবিতা লেখার জন্য, শেষ ইচ্ছাগুলো বলার জন্য? সেই যে আইসিইউতে ঢুকলি আর ফিরলি না, চলেই গেলি বন্ধু, স্মৃতি পাহাড়ের নিচে আমায় চাপা দিয়ে রেখে। এই বেদনা আমি সইব কেমন করে? ভালো থাকিস প্রিয় এর অধিক প্রিয় বন্ধু ওপারে। বন্ধু তুই বলেছিলি, রনক, তুইই একমাত্র আমাকে হৃদয়ে ধারণ করেছিস। মৃত্যু হৃদয়েই রাখবো তোকে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন রাজীব মীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর রাজীব কবিতা লেখা ছাড়াও নিয়মিত লেখালেখি করতেন। সমাজকর্মী ও গবেষক হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।

এমবিআর/বিএ/এমএস

Advertisement