রাফাল যুদ্ধবিমানের চুক্তি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধির মন্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানাল ফ্রান্স। দু’দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তির কথা তুলে ধরে ফ্রান্সের দাবি, বিমান কেনা-বেচা সংক্রান্ত তথ্য বাইরে বলা যায় না।
Advertisement
শুক্রবার দুপুরে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি তাকে জানিয়েছেন, বিমান কেনা-বেচা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে কোনো অসুবিধা নেই। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামণকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল। সংসদেই ওই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন >> প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জড়িয়ে ধরলেন রাহুল
সংসদে দেয়া রাহুলের বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই ভারতকে রাফাল সরবরাহকারী দেশ ফ্রান্স এক বিবৃতিতে জানায়, তার (রাহুল গান্ধি) দেয়া বক্তব্য সঠিক নয়।
Advertisement
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের দাবি, ফ্রান্স জানিয়েছে যে, তথ্য গোপন রাখার বিষয়টি চুক্তির মধ্যেই আছে। তাতে বলা আছে, ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এই মর্মে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান বিক্রি সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছিল।
অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় মোদি সরকারের নানা প্রসঙ্গে আক্রমণ করতে থাকেন রাহুল। তার মধ্যে অনেকটা অংশ জুড়ে ছিল রাফাল ‘দুর্নীতি’। ইউপিএ আমলে এ যুদ্ধ বিমান কেনার ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়। তখন বিমানের দাম কী ছিল তা উল্লেখ করেননি রাহুল।
তিনি বলেন, মোদি সরকারের আমলে যুদ্ধবিমান কিনতে দেশের অনেক বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্সযাত্রা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রীকেও সরাসরি আক্রমণ করেন কংগ্রেস সভাপতি। তার দাবি, নির্মলা (প্রতিরক্ষামন্ত্রী) প্রথমে বিমানের দাম জনসমক্ষে আনতে রাজি ছিলেন। কিন্ত প্রধানমন্ত্রীর চাপে তিনি সেটা করতে পারেননি। কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য শেষ হতেই জবাব দেন নির্মলা।
আরও পড়ুন >> চার বছরে মোদির বিদেশ সফরে ব্যয় ১৪৮৪ কোটি
Advertisement
২০০৮ সালের কংগ্রেস আমলে দু’দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তির প্রতিলিপি তুলে ধরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, তখনই জানানো হয়েছিল চুক্তির কথা প্রকাশ করা যাবে না। তার মন্ত্রণালয় সেটাই পালন করে চলেছে। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, ফরাসি রাষ্ট্রপতি একটি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে আগেই বলেছিলেন, চুক্তির কথা বাইরে আনা যায় না।
এমএআর/এমএস