রাজধানীর নয়াপল্টনের বিভিন্ন হজ এজেন্সিতে বৃহস্পতিবার ৫ম দফা অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
দুদক অভিযোগ কেন্দ্রের হটলাইনে আসা (১০৬) এ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের উপ-পরিচালক শেখ ফানাফিল্যা এবং সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের একটি টিম এ অভিযান চালায়।
সরেজমিন অভিযানকালে দুদক টিম কাজী টাওয়ারে অবস্থিত কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল নামক হজ এজেন্সি দেখতে পান তাদের কাছে প্রকৃত হাজির সংখ্যার সমর্থনে কোনো কাগজপত্র নেই। দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, নিবন্ধনকৃত প্রত্যেক হজ এজেন্সির কমপক্ষে ১৫০ জন যাত্রী প্রেরণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও ওই এজেন্সি মাত্র ৭৫ হজ হাজীকে প্রেরণ করেছে বলে জানায়। এছাড়াও তাদের কাছে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের বাড়ি-ভাড়া, মুয়াল্লাম ফি ও অন্যান্য রশিদপত্র পাওয়া যায়নি।
দুদক টিম একই টাওয়ারে অবস্থিত কাজী ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস- এর কাগজপত্র পরীক্ষাকালে দেখতে পান ওই এজেন্সির গতবছরের অডিটে ৪ লক্ষাধিক টাকার কর ফাঁকি দিলেও তারা আবার কিভাবে হজযাত্রী পাঠানোর অনুমোদন পেল তা দেখে দুদক টিম বিস্মিত হন।
Advertisement
দুদক কর্মকর্তারা জানান, এ টিমের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ জাতীয় অনিয়ম প্রতিরোধকল্পে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। সময় দুদকের পক্ষ থেকে উপস্থিত হজযাত্রীসহ সবার কাছে দুর্নীতিবিরোধী লিফলেট ও দুদক হটলাইন (১০৬) এর স্টিকার বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, এর আগে গত ২ জুলাই, ৪ জুলাই, ৯ জুলাই ও ১৫ জুলাই রাজধানীর বিভিন্ন হজ এজেন্সিতে অভিযান চালায় দুদক।
এ অভিযান প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য, হজকেন্দ্রীক দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া এবং ব্যাহত অভিযানের মাধ্যমে হজযাত্রীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলা।’
এমইউ/জেএইচ/পিআর
Advertisement