অবশেষে দু’বছর ধরে চলা জরুরি অবস্থা তুলে নিলো তুরস্ক। ২০১৬ সালে দেশে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। গত শুক্রবার নতুন কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্টের অধীনে নতুন মন্ত্রীনভার প্রথম বৈঠকে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার বহু প্রতীক্ষিত সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করা হয়।
Advertisement
জরুরি অবস্থা জারির মধ্যেই হাজার হাজার তুর্কি নাগরিককে আটক করা হয় এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।দেশটিতে আগাম নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের প্রার্থীরা ঘোষণা করেছিল যে, তারা নির্বাচিত হলে প্রথমেই দেশ থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেবেন।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশজুড়ে সাতবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এর পরেও আবারও তিনমাসের জরুরি অবস্থা জারি করার পরিকল্পনা করা হলেও পরে তা নতুন মন্ত্রীসভার বৈঠকে বাতিল করে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পর নির্বাসিত নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ১ লাখ ১০ হাজারের বেশি কর্মচারীকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে প্রায় দেড় হাজার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
Advertisement
দেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক এবং নিজেদের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে বহুদিন ধরেই জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে তুরস্কের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। তুরস্কের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাদের দাবী, এমন সিদ্ধান্তের কারণে তুরস্কের মানুষের বেসামরিক এবং রাজনৈতিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
টিটিএন/আরআইপি