যুক্তরাজ্যের ফার্নবরো এয়ার শোতে প্রদর্শিত হল বিমানের ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’। বোয়িংয়ের তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের সর্বাধুনিক উড়োজাহাজটি প্রদর্শিত হয়।
Advertisement
মঙ্গলবার শুরু হওয়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই এয়ার শো শেষ হবে বৃহস্পতিবার।
শো শুরুর দিন স্থানীয় সময় ২টা ৫০ মিনিটে আকাশবীণাকে প্রদর্শনের জন্য আকাশে ওড়ানো হয়। বোয়িংয়ের চিফ টেস্ট পাইলট গ্রেগ বিগ্যাক উড়োজাহাজটি প্রায় ১৫ মিনিট আকাশে ওড়ান। দর্শনার্থীদের দেখার সুবিধার জন্য এটি ভূমি থেকে কাছাকাছি উচ্চতায় উড্ডয়ন করে।
যুক্তরাজ্যে প্রতি দুই বছর অন্তর জুলাইয়ে ফার্নবরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। গত সোমবার শুরু হওয়া এবারের শো চলবে ২২ জুলাই পর্যন্ত। সারা বিশ্বের এভিয়েশন খাতসংশ্লিষ্টরা শোতে অংশগ্রহণ করছেন। এতে উড়োজাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উড়োজাহাজ প্রদর্শন করছে।
Advertisement
এবারের ফার্নবরো এয়ার শোতে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িং তাদের বেশকিছু উড়োজাহাজ প্রদর্শন করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আগ্রহ তৈরি করেছে ড্রিমলাইনার।
বোয়িংয়ের প্রডাক্ট মার্কেটিং (কমার্শিয়াল এয়ারলাইনস) বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেমস ফ্রিটাস বলেন, বিমান ও বোয়িংয়ের মধ্যে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব রয়েছে। বিমান তার বহরে আধুনিক উড়োজাহাজ যুক্ত করছে। বোয়িং এ কাজে বিমানকে সহায়তা করছে। এয়ার শোতে বিমানের জন্য নির্মিত ড্রিমলাইনারটি প্রদর্শিত হয়েছে। বিষয়টি উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য অনন্য মাইলফলক।
বিমান জানিয়েছে, আগামী ২০ আগস্ট বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারটি বিমানের কাছে হস্তান্তর করবে। ২০০৮ সালে ২১০ কোটি ডলারে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার ব্যাপারে বোয়িংয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি করে বিমান। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ এরই মধ্যে বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকি চারটি উড়োজাহাজের সবগুলোই ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, যার মধ্যে দুটি চলতি বছরের আগস্ট ও নভেম্বরে এবং বাকি দুটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বিমানের বহরে যুক্ত হবে।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ড্রিমলাইনার দিয়ে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে। এরই মধ্যে টিকিট বিক্রিও শুরু হয়েছে।
Advertisement
উল্লেখ্য, বিমানের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া চারটি ড্রিমলাইনারের নাম দেয়া হয়েছে- আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস। এর মধ্যে আকাশবীণা আগামী ২০ আগস্ট বহরে যুক্ত হবে। এরই মধ্যে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি থেকে এর নিবন্ধন (এস২-এজেএস) নেয়া হয়েছে। ড্রিমলাইনারটির আসন সংখ্যা মোট ২৭১টি (বিজনেস ক্লাসের ২৪টি ও ইকোনমি ক্লাসের ২৪৭টি)।
আরএম/এমবিআর/আরআইপি