এক সময়ের তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা কবীর সুমন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রতি সুর সরম করলেন। বিজেপি উৎখাতে মমতার সঙ্গেই আছেন কবীর সুমন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপিকে সমূলে উৎখাত করা এখন তার মূল লক্ষ্য। তার এই লক্ষ্যে তিনি অনড়, আর তার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ে নামছেন তিনি এবং সেই লড়াইয়ে জয়ী করতে হবে মমতাকে।
Advertisement
বুধবার কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সদস্য কবীর সুমন বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে সাংবাদিকদের জোর গলায় বলেন, ‘বিজেপি লুটেরা, দাঙ্গাবাজদের দল। এদের গ্রাস থেকে মানুষকে বাঁচাতে ভোট দিতে হবে মমতাকেই।’
তৃণমূলের প্রতিও তার যে রাগ বা অভিমান সেটাও তার গলায় স্পষ্ট ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি মমতার সঙ্গে প্রথম থেকে ছিলাম, কিন্তু এখন তার পাশে দাঁড়াতে গেলে আমাকে দু’বার ভাবতে হয়। তা শুধু মমতার চারপাশে যে তৃণমূলপন্থীরা রয়েছেন সেই কারণেই। ভবিষ্যতে মমতার পাশে কেউ না থাকলেও আমি থাকব।’
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়সহ বাংলার বিদ্বজ্জনেরা। মূলত বিজেপির গ্রাস থেকে দেশবাসীকে রক্ষার তাগিদে প্রেসক্লাবে জমায়েত হয়েছিলেন তারা। নোট বাতিল, পেট্রল-ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিসহ ভারতের ফ্যাসিবাদ শক্তির উত্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন বিশিষ্টজন। গত কয়েক বছর ধরে ভারতে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ঢাল বানিয়ে যেভাবে গোষ্ঠী দাঙ্গা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তা নিয়েও চিন্তা প্রকাশ করেছেন তারা। আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপি যাতে একটিও ভোট না পায়, তার জন্য সকলকে সংঘবদ্ধ হওয়ার আহাবান জানিয়েছেন তারা। এদিনের অনুষ্ঠানের আহ্বায়কমণ্ডলীতে ছিলেন শক্তিমান ঘোষ, প্রসূন ভৌমিকরা।
Advertisement
প্রসূন ভৌমিকের কথায়, ‘আমরা যারা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম এই আন্দোলন তাদেরই। আগামী দিনে জেলায় জেলায় এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়া হবে।’
প্রয়োজনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতেও রাজি সুমন তবে তিনি একথাও স্পষ্ট করেছেন, ‘জয় আসলে এটা কারও একার জয় হবে না সেটা তৃণমূলকে বুঝতে হবে। এটা মানুষের জোট লড়াই। তাই বাংলার সকলকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে।’
বিএ
Advertisement