শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আনন্দ বাজার সংলগ্ন জিন্নাত আলী ছৈয়ালের বাড়ি থেকে নূরানি মাদরাসা পর্যন্ত প্রায় ২ কি. মি. সড়কের বেহাল দশা। রাস্তাটি দেখে মনে হয় যেন রাস্তা নয় কর্দমাক্ত মাঠ।জানা গেছে, প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় বর্ষাকালে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় গ্রামবাসী। আর কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এ রাস্তার অবস্থা আরা করুণ হয়েছে। পানি আর কাঁদায় একাকার হয়ে রাস্তাটি যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবারই নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা গুরুপ্তপূর্ণ এই রাস্তাটি পাকা করার আশ্বাস দিলেও নির্বাচিত হওয়ার পর সবাই তা ভুলে যায়। ক্ষোভের সুরে এলাকাবাসী বলেন, এখন বর্ষাকাল চলছে। গ্রামের মানুষ নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে আনন্দবাজার অথবা ডামুড্যা আসতে পারছেন না। পানি কাঁদা পেরিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল কলেজে যেতে পারছেন না। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখা-পড়ায় পিছিয়ে পড়ছেন।গ্রামবাসীর আভিযোগ, ডামুড্যা উপজেলার অধিকাংশ রাস্তা পাকা হয়ে গেছে কিন্তু এ রাস্তাটি পাকা হয়নি আজও। এতে করে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এবং রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় তারা ক্ষোপ প্রকাশ করছেন।কনেশ্বর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জুলহাস সরদার বলেন, রাস্তাটি করা অতি জরুরি। আমরা ঈদ-উল-আযহার পর পর রাস্তাটি করার পরিকল্পনা করছি। আপাতত ইট বসানো হবে।কনেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, এই রাস্তাটি অতি গুরুপ্তপূর্ণ। ইউনিয়নের অর্থ সংকট থাকায় রাস্তাটি পাকা হচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় কাগজপত্র দিয়ে রেখেছি। দেখি কি করা যায়।মো. ছগির হোসেন/এসএস/পিআর
Advertisement