জাতীয়

‘নাশকতায় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে’

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো ও নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে যারা ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছে, তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

Advertisement

বুধবার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং নাশকতা সৃষ্টিতে যারা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছে তাদের ব্যাপারে কাজ চলছে। যাতে তারা এটা না করতে পারে।

গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আসন্ন তিনটি সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।

Advertisement

গত চার মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন, অপহরণ, ডাকাতিসহ সবধরনের অপরাধ কমেছে দাবি করে কমিটির সভাপতি বলেন, গত ১৮ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযানে ২৫ হাজার ৫৭৫টি নিয়মিত মামলা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অনেককে সাজা দেয়া হয়েছে। মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বহনকারীর পরিবর্তে মাদক সরবরাহকারী, অর্থ লগ্নিকারী চিহ্নিত সিন্ডিকেট সদস্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যার কারণে এ অভিযান অত্যন্ত ফলপ্রসূভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

‘৩৭ হাজার ২২৫ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি যতদূর জানি, ৩০ এর মতো মারা গেছে।’

তিনি বলেন, কারাগারে এখন বন্দীর সংখ্যা ৮৯ হাজার ৫৮৯ জন। এর ৪২ শতাংশ মাদক সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত।

বিগত মে-জুনে সারাদেশে খুন, ডাকাতি, নারী নির্যাতন মামলার ৮০ শতাংশই উদঘাটিত হয়েছে বলেও জানান আমির হোসেন আমু। ‘সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র-মাদক পাচার রোধে বিজিবি সতর্ক রয়েছে। রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২৮৭টি বিট রয়েছে, প্রতিটি বিটেই জঙ্গি ও মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারণা চলছে। পাশাপাশি মাদকবিরোধী অভিযান চলবে।

Advertisement

শিল্পমন্ত্রী বলেন, মাদকসেবীদের নিরসন ও তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিভাগীয় ও জেলা শহরে ২০০-২৫০ বেডের হাসপাতালের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে উপজেলা হাসপাতালে ব্যবস্থা করা হবে। যদিও আগে থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে, এটাকে আরও বেশি জোরদার করা হবে।

মাদকবিরোধী অভিযান কতদিন চলবে- জানতে চাইলে আমু বলেন, এটা যতদিন সম্পূর্ণভাবে নিরসন না করা যায় ততদিন চলবে।

অভিযানে রাঘব বোয়ালরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলা হচ্ছে- এ বিষয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, এটা ঠিক না, আপনারা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করছেন এটার ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠিন নির্দেশ যে কেউ জড়িত থাক না কেন, যত ওপর মহল জড়িত থাক না কেন, কারো ব্যাপারে ছাড় দেয়া হবে না।

কক্সবাজারের একজন এমপির জড়িত থাকার কথা আসছে- তাকে ধরার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়ই প্রমাণ সাপেক্ষে ধরা হবে। যদি প্রমাণিত হয়। যথাযথ প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড়া হবে না। এ ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী অত্যান্ত কঠিনভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, মাদকে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না, সে যেই হোক।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/এএইচ/পিআর