সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে ইসির প্রকাশিত গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। রিটে নির্বাচনের সব কার্যকম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
Advertisement
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এস এম মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী শেখ জাহাঙ্গীর আলম রিটটি করেন।
হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনকারী বর্তমানে কুড়িগ্রাম-৪-এর ভোটার। গেজেটে প্রকাশিত কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচনেও ভোট দিতে পারবেন-এ বিষয়টির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।
Advertisement
জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, কুড়িগ্রাম-৩ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হলেও এই উপনির্বাচন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী সীমানা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ববর্তী সীমানা অনুযায়ী কুড়িগ্রাম-৩ আসনের বর্তমান ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮১১।
গত ১১ মে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাইদুল ইসলামের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৫ জুলাই কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর উপজেলা একটি ও চিলমারীর ২টি ইউনিয়ন বাদে) আসনে উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা। এ অবস্থায় সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ৩০ এপ্রিল ইসির প্রকাশিত এক গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের বাসিন্দা এস এম মোস্তাফিজুর রহমান রিট করেন বলে আইনজীবী শেখ জাহাঙ্গীর আলম জানান।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩০ এপ্রিল সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে বলা হয়, চিলমারী উপজেলার চারটি ইউনিয়ন কুড়িগ্রাম-৪ আসনে অন্তর্ভুক্ত হবে। এই চার ইউনিয়ন হলো চিলমারী, রমনা, রানীগঞ্জ ও থানাহাট। আরও বলা হয়, এই চার ইউনিয়নের বাসিন্দারা কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপনির্বাচনেও ভোট দিতে পারবেন।
Advertisement
এফএইচ/জেএইচ/এমএস