আন্তর্জাতিক

অবরুদ্ধ গাজায় গ্যাস-জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ করেছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গ্যাস এবং জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। উপত্যকায় গ্যাস এবং জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়ার এক সপ্তাহ পর তা কার্যকর করেছে ইসরায়েল।

Advertisement

গত ৯ জুলাই গাজার কেরেম শ্যালোম ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে প্রাথমিকভাবে মানবিক দিক বিবেচনায় কেরেম শ্যালোম ক্রসিং দিয়ে শুধুমাত্র খাবার, ওষুধ ও মেডিকেল সামগ্রী সরবরাহ, জ্বালানি, পশুখাদ্য এবং গবাদিপশু গাজায় প্রবেশ করতে পারবে বলে জানায় ইসরায়েল।

সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় বলছে, জ্বালানি এবং গ্যাস সরবরাহও বন্ধ করা হবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে শুধুমাত্র ওষুধ এবং খাবারের সরবরাহের জন্য ক্রসিং খোলা থাকবে।

আরও পড়ুন : বিকিনি পরা ছবিগুলো কী ক্রোয়েশিয়া প্রেসিডেন্টরই?

Advertisement

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাসের ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রচেষ্টার মাঝে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদোর লিবারম্যান সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার পর আগামী রোববার পর্যন্ত গাজায় কেরেম শ্যালোম ব্যবহার করে জ্বালানি এবং গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জাতিসংঘ এবং আইনি প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম অব ম্যুভমেন্ট ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সামষ্টিক শাস্তি বলে মন্তব্য করেছে।

তারা বলছে, সামষ্টিক শাস্তি ছাড়া ইসরায়েলের এই ব্যবস্থাকে তুলনার অন্য কোনো উপায় নেই। এদিকে, গাজার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল হামাস ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্তকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে দাবি করেছে।

সূত্র : আলজাজিরা।

Advertisement

এসআইএস/এমএস