জাতীয়

পাহাড়ি অঞ্চল থেকে কৃষি শুমারি শুরু

# প্রথমে সংগ্রহ করা হবে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ২৫ উপজেলার তথ্য# মঙ্গলবার থেকে মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে বিবিএস

Advertisement

পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে শুরু হয়েছে কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি-২০১৮। কৃষি শুমারির প্রথমে সংগ্রহ করা হচ্ছে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার ২৫ উপজেলার তথ্য।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কৃষি শুমারির মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করেছে। মাঠ পর্যায়ে কাজকে এগিয়ে নিতে রাঙামাটিতে প্রথম অবহিতকরণ সভাও করেছে বিবিএস। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে সভায় প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাফর আহাম্মদ খান, রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনী আক্তার, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোরঞ্জন ধর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন। পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাফর আহাম্মদ খান জানান, পাহাড়ি অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়েই মাঠ পর্যায়ে কৃষি শুমারি শুরু করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভাও হয়েছে। অনেকের ধারণা ছিল কৃষি মানেই সমতল, এখন এ কথার কোনো ভিত্তি নেই। এখন পাহাড়েও নানা ধরনের ফসল হচ্ছে।

Advertisement

এর আগে কৃষি শুমারি প্রসঙ্গে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনো কৃপণতা দেখান না প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পার্বত্য এলাকার কোনো প্রকল্প উত্থাপন হলে সঙ্গে সঙ্গে তা অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। পার্বত্য চট্টগ্রামের সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অবগত রয়েছেন।

কৃষি শুমারি পরিচালনার মাধ্যমে কৃষি খানার সংখ্যা, খানার আকার, ভূমির ব্যবহার, কৃষির প্রকার, শস্যের ধরন, চাষ পদ্ধতি, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা এবং কৃষি ক্ষেত্রে নিয়োজিত জনবল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ ধরনের তথ্য-উপাত্ত কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন কৌশল নির্ধারণ এবং অগ্রগতি পর্যাবেক্ষণে বেঞ্চমার্ক তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

দেশে ১৯৬০, ১৯৭৭, ১৯৮৩-৮৪, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে (মোট চার বার) কৃষি শুমারি হয়েছে। দেশব্যাপী পরিচালিত পঞ্চম শুমারি একটি অন্যতম বৃহৎ কার্যক্রম। প্রতি দশ বছর পর পর কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়।

বিবিএস সূত্র জানায়, দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি তথা সমগ্র দেশের আয়ের মূল চালিকা শক্তি কৃষি। জিডিপিতে বর্তমানে (২০১৭-১৮) বৃহত্তর কৃষির সমন্বিত অবদান শতকরা ১৪.১০ ভাগ এবং মোট শ্রমশক্তির শতকরা ৪০.৬০ ভাগ কৃষিতে নিয়োজিত।

Advertisement

‘পরিসংখ্যান আইন ২০১৩’ অনুযায়ী জনশুমারি এবং অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি শুমারি পরিচালনার ব্যাপারে বিবিএস’র আইনগত বাধ্যবাধকতা সর্বোপরি দায়বদ্ধতা রয়েছে। সরকার এই প্রথম নিজস্ব অর্থায়নে দেশে পঞ্চমবারের মতো কৃষি শুমারি পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে।

এমএ/এএইচ/পিআর