আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ থেকে উপার্জিত অর্থ চ্যারিটি ফান্ডে দান করে দেবেন ১৯ বছর বয়সী বিস্ময় বালক, ফরাসি ফুটবলার কাইলিয়ান এমবাপে। কথা রেখেছেন তিনি। ফ্রান্স ফুটবলার বিশ্বকাপ থেকে তার উপার্জিত অর্থের ৫ লাখ ডলার- পুরোটাই দান করে দিয়েছেন চ্যারিটি ফ্রান্ডে।
Advertisement
রাশিয়ায় তিনি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিলেন একরাশ সম্ভাবনা নিয়ে। তরুণ উদীয়মান তারকা হিসেবে এমবাপে কেমন মাঠ কাঁপান সেটাই ছিল দেখার অপেক্ষায়। যেমন সম্ভাবনা নিয়ে গেলেন, দিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি। অন্তত দুটি রেকর্ডে তিনি নাম লেখালেন পেলের সঙ্গে। হলেন টুর্নামেন্ট সেরা উদীয়মান ফুটবলার। মাত্র ১৯ বছর বয়সে খেলতে এসে করেছেন ৪ গোল। যার মধ্যে একটি ফাইনালে এবং জোড়া গোল রয়েছে মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।
‘স্পোর্টস ইলাসট্রেটেড’ জানিয়েছে রাশিয়া বিশ্বকাপে ম্যাচ প্রতি ২২৫০০ ডলার করে পেয়েছেন এমবাপে। বিশ্বকাপে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এছাড়া বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্স দলের সদস্য হিসেবে বোনাস পেয়েছেন আরও ৩৫৫,০০০ ডলার। সেই হিসেবে এমবাপের মোট প্রাপ্তি দাঁড়ায় ৫০০০০০ ডলার।
ফ্রান্সের এল ইকুইপে জানাচ্ছে, এই অর্থের পুরোটাই তিনি দান করেছেন এক চ্যারিটি সংস্থাকে। সেই সংস্থার নাম প্রিমিয়ার ডি করডি। সংস্থাটির কাজ হচ্ছে, প্রতিবন্ধী শিশু ও হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের নিয়ে কাজ করা। ২০১৭ সাল থেকেই এই চ্যারিটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমবাপে।
Advertisement
প্রিমিয়ার ডি করডির মুখপাত্র সেবাস্তিয়ান রাফিন লে পেরিসিয়ানকে বলেন, ‘কাইলিয়ান দুর্দান্ত মানুষ। যখনই সুযোগ পান, উনি আমাদের সাহায্য করেন আনন্দের সঙ্গে।’
চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানটিকে এমবাপে আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিলেন। যদিও প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে বিষয়টা খুব একটা আমলেই নেয়নি। কারণ গাছে কাঁঠাল, গোফে তেল দিতে রাজি ছিলেন না তারা। সেবাস্তিয়ান রাফিন বলেন, ‘বিশ্বকাপের কিছুদিন আগেই এমবাপে এবং তার পরিবার এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে আমরা এ নিয়ে খুব এগোইনি। কারণ, তার বোনাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হবে কেবলমাত্র ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলে। তবুও তিনি সব সময় এ নিয়ে আমাদের বলে যেতেন।’
চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের ওই কর্মকতা আরও বলেন, ‘এটা একজন খেলোয়াড়ের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকে করা কোনো ভালো কাজ। আমরা কখনোই পৃষ্ঠপোষকদের কাছে আর্থিক সহযোগিতার জন্য ধর্না দেই না।’
আইএইচএস/এমএস
Advertisement