হজ পালনকারী ব্যক্তি যদি অসুস্থ হয় বা ভিত হয় তবে তাঁর জন্য রয়েছে ইহরামের ভিন্ন পদ্ধতি। কুরআন এবং হাদিসের তাদের ইহরাম সম্পর্কে সুস্পষ্ট র্বণা রয়েছে।
Advertisement
হজ পালনকারী ব্যক্তি যদি অসুস্থ বা ভিত হয় তবে তাকে হজের নিয়তে ইহরাম বাঁধার সময় শর্ত করা সুন্নাত। ইহরাম বাঁধার সময় সে এ কথাগুলো বলবে-
اِن حَبَسَنِى حَابِسٌ فَمَحِلِّى حَيْثُ حَبَسْتَنِىْ
উচ্চারণ : ‘ইন হাসাবানি হাবিসুন ফামাহহিললি হাইছু হাবাসতানি’
Advertisement
অর্থ : (হে আল্লাহ!) যদি আমাকে কোনো বাধা দানকারী বাধা দেয়; তবে আমি সে স্থানে হালাল হয়ে যাব; যেখানে আমাকে তুমি থামিয়ে দেবে।
অসুস্থ বা ভিত ব্যক্তি এ কথা বলে ইহরাম বাধার পর যদি কোনো কারণে হজ আগে ইহরাম থেকে হালাল হতে হয় তবে সে কুরবানি করা ছাড়াই হালাল হয়ে যাবে। আর যদি ইহরামের সময় শর্ত না করে তবে ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য তার ওপর দম ওয়াজিব হয়ে যাবে এবং পশু জবাই করার পর সে হালাল হবে।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘আর তোমরা হজ ও ওমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে পরিপূর্ণভাবে পালন কর। যদি তোমরা বাধাপ্রাপ্ত হও, তাহলে হাদির জন্য যা কিছু সহজ লভ্য, তাই তোমাদের ওপর ধার্য। আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুণ্ডন করবে না, যতক্ষণ না হাদি যথাস্থানে পৌছে যাবে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৯৬)
Advertisement
আরও পড়ুন > ইহরাম অবস্থায় যে পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ
হাদিসে পাকে শর্ত সাপেক্ষে ইহরাম সম্পর্কে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুবাবা বিনতে জুবাই রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে প্রবেশ করে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কী হজ করার ইচ্ছা করছ?’ সে বলল, আল্লাহর কসম! আমি ব্যাথা অনুভব করছি।’ তিনি (রাসুলুল্লাহ) তাকে বললেন, হজ কর এবং
اَللَّهًمَّ مَحِلِّىْ حَيْثُ حَبَسْتِنِى
আল্লাহুম্মা মাহিল্লি হায়সু হাবাসতানি’ বলে শর্ত কর।’ (বুখারি, মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব অসুস্থ ও দুর্বল বা ভিতুদেরকে সুন্দরভাবে হজ সম্পাদনের তাওফিক দান করুন। ইহরামের সময় উল্লেখিত দোয়া পড়ে সুন্নাত আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর