দেশজুড়ে

বিকাশের হটলাইন নম্বরের কল ধরে ব্যবসায়ীর অর্ধ লাখ টাকা গায়েব

বিকাশ কর্মীর নম্বর ও বিকাশের সাহায্য কেন্দ্রের নম্বর থেকে ফোন করে তথ্য নেয়ার পর বরগুনায় এক বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৯ হাজার টাকা নিয়ে গেছে প্রতারকরা। প্রতারণার শিকার ওই ব্যবসায়ীর নাম মো. লিটন। তিনি বরগুনার ডিকেপি রোডের পানির ট্যাংক এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

Advertisement

ভুক্তভোগী লিটন জানান, গত ৮ জুলাই রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিকাশকর্মী সাইফুল ইসলাম তার ব্যবহৃত রবি নম্বর (০১৮৬৩২৯৯১০২) থেকে ফোন করে বিকাশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। এর কিছুক্ষণ পর বিকাশের সাহায্য কেন্দ্রের নম্বর (১৬২৪৭) থেকে ফোন করে বিকাশের এজেন্ট টু এজেন্ট নম্বরে লেনদেন করার পদ্ধতি বলে দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য নেন। এর পরপরই তার এজেন্ট নম্বরের অ্যাকাউন্টে থাকা ৪৯ হাজার টাকা প্রতারকরা নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী লিটনের মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ ঘেটে জানা গেছে, ঘটনার দিন রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তার এজেন্ট নম্বরে বিকাশের মোবাইল অ্যাপ ভেরিফিকেশনের একটি কোড আসে। এই কোডটি প্রতারকরা তার কাছ থেকে চেয়ে নেন। এরপর বিকাশের অ্যাকাউন্ট এবং লেনদেন-সংক্রান্ত আরও কয়েকটি ম্যাসেজ আসে তার ফোনে। তখনও প্রতারকদের সঙ্গে তার কথোপকথন চলছিল। কথোপকথনের এক পর্যায়ে প্রতারকরা তার কাছ থেকে তার এজেন্ট নম্বরের পিনকোডটিও চেয়ে নেন। এর কিছুক্ষণ পর তার অ্যাকাউন্ট থেকে তিনবারে প্রতারকরা ৪৯ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিকাশকর্মী সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে আমার সঙ্গে ব্যবসায়ী লিটনের কোনো কথা হয়নি। প্রতারকরা বিশ্বাস অর্জনের জন্য আমার নম্বর ক্লোন করে বিকাশের এজেন্ট ব্যবসায়ী লিটনের সঙ্গে কথা বলে। এরপর তারা বিকাশের সাহায্য কেন্দ্রের নম্বরও ক্লোন করে তার সঙ্গে কথা বলে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ওই দিন রাতে বরগুনার কেজি স্কুল এলাকার যমুনা স্টোরের বিকাশ এজেন্ট নম্বর থেকে ২০ হাজার এবং বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালীর আরও এক বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে প্রতারকরা।

এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন, বিকাশে প্রতারণাটি শুধু বরগুনায় নয়, এটি একটি দেশব্যাপী সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি প্রতারকদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। অচিরেই প্রতারকদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।

সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এমএএস/আরআইপি

Advertisement