নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের পথ যতদিন পর্যন্ত মসৃণ না হবে ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। সেইসঙ্গে নির্বাচনের বিধান না রেখে মনোনয়নের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন আরও ২৫ বছর বহাল রাখার প্রতিবাদও জানায় সংগঠনটি।
Advertisement
সোমবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি। এতে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আয়শা খানম। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আন্দোলন সম্পাদক রেখা চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্য বলা হয়, জাতীয় ও ধারাবাহিকভাবে জাতীয় সংসদে নারীর আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ আন্দোলন করেছি। এই আন্দোলনের ফসল হিসেবে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ১০-১৫, ১৫-৫০ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আশ্বাস পেয়েছি, প্রতিশ্রুতি পেয়েছি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে। মহাজোটের লিখিত ইশতেহারে সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি ও সরাসরি নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু তার কোনো বাস্তব প্রয়োগ আমরা দেখিনি। তাদের ঘোষিত লিখিত বিষয়ের সঙ্গে তারা একটি সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত নিলেন।
বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, নারীর রাজনৈতিক আন্দোলন একদিনের কাজ নয়। একদিনে নারীর ভোটের অধিকার, নারীর শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সেদিক থেকে নারীর রাজনৈতিক অধিকার যতক্ষণ প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। নারীর এই রাজনৈতিক ক্ষতায়নের জন্য শুধু সরকারি দল নয়, অন্যসব রাজনৈতিক দলকেও সক্রিয় থাকতে হবে। বাংলাদেশে যে নারী ক্ষমতায়ন হয়েছে তা শুধু সরকারের একক প্রচেষ্টায় হয়নি।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি ডা.ফওজিয়া মোসলেম, লক্ষ্মি চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ, অর্থ সম্পাদক দিল আফরোজ বেগম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক বুলা ওসমান, স্বাস্থ্য সম্পাদক নূরুল ওয়ারা বেগম প্রমুখ।
এএস/জেডএ/এমএস