খেলাধুলা

অধিনায়ক ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব দেশমের

ফ্রান্স শিবিরে উৎসব, উৎসবের মধ্যমণি দিদিয়ের দেশম। শিষ্যরা তাকে একবার মাথার উপর তুলে আকাশে ছুঁড়ে মারছেন, নেমে আসলে আবার ধরছেন। ফুটবলকে বলা হয় কোচের খেলা। ফ্রান্স কোচ এমন অভিবাদন তো পাবেনই! আনন্দের মাঝে হয়তো অনেকে খেয়ালই করেননি, বিশ্বকাপ জেতার সঙ্গে অনন্য এক রেকর্ডও গড়ে ফেলেছেন ফরাসি কোচ।

Advertisement

১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। সেবার দলের অধিনায়ক ছিলেন বর্তমান দলের কোচের দায়িত্বে থাকা দেশম। এবার তিনি আরেকটি বিশ্বকাপ জিতলেন, খেলোয়াড় হিসেবে নয়, কোচ হিসেবে।

লুঝনিকি স্টেডিয়ামে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়েছে ফ্রান্স। ফাইনাল ম্যাচটি জিতে দেশমও উঠে গেছেন ইতিহাসের পাতায়। বিশ্বের মাত্র দ্বিতীয় ব্যক্তি হয়ে কোচ ও অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার গৌরব অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়া খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন মাত্র তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে।দেশমের আগে জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও ব্রাজিলের মারিও জাগালো খেলোয়াড় ও কোচ উভয় পদেই বিশ্বকাপ জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এর মধ্যে আবার বেকেনবাওয়ার খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার সময় ছিলেন নিজ দেশের অধিনায়কও। জাগালো দুইবার খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জিতলেও একবারও তার হাতে ছিল না অধিনায়কের আর্মব্যান্ড।

খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার প্রথম নজির স্থাপন করেন জাগালোই। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। পরে ১৯৭০ সালে পেলের শেষ বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন নিজ দেশের কোচের দায়িত্বে।জাগালোর এই কৃতিত্ব দেখানোর ৪ বছর পরই শুরু বেকেনবাওয়ারের। ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে জার্মান দলকে দ্বিতীয় শিরোপা জেতানোর পথে অধিনায়ক ছিলেন তিনি। পরে ১৯৯০ সালে তৃতীয়বারের মতো নিজ দেশকে শিরোপা জেতানোর সময় তিনি ছিলেন ডাগআউটে কোচের দায়িত্ব নিয়ে।

Advertisement

বেকেনবাওয়ারের কোচ-অধিনায়ক চক্রপূরণের ৮ বছর পর অধিনায়ক হিসেবে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জিতেছেন দিদিয়ের দেশম। ২০ বছর পর তিনি নাম লেখালেন বেকেনবাওয়ার-জাগালোর রেকর্ডের পাশে।

এমএমআর/আরএস