একটি গোল। এই একটি মাত্র গোল পাল্টে দিতে পারে একটি দেশের মানচিত্র, একটি দেশের চেহারা। বিশ্বকাপ ফুটবল এমনই প্রভাব, এতটাই মাহাত্ম্য। ম্যাচটা যদি হয় বিশ্বকাপের ফাইনাল। তাহলে তো কথাই নেই। মানচিত্র বদলে দেয়াই নয়, ইতিহাসের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়ে যায় বিশ্বকাপের ফাইনালে গোলের মধ্য দিয়ে।
Advertisement
এই একটি গোল পাওয়ার জন্য কত প্রস্তুতি। কত সংগ্রাম, কত সাধনা করতে হয় প্রতিটি দলকে। খেলাটা দুই দলের ১১জন করে ২২ জনের হলেও লড়াই তো দুই দেশের। যেন এক শ্বাসরূদ্ধকর যুদ্ধ। এই যুদ্ধের সমস্ত সৈন্য-সামন্ত মিলে তুমুল লড়াইয়ের পর একটি গোল বের করে আনতে নিরন্তর চেষ্টা করে যেতে হয়। সেখানে যদি নিজেই ভুল করে নিজের জালে বল জড়িয়ে দেয়, তাহলে সেটা কতটা কষ্টের, কতটা ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতার হয়ে যায়, তা বলাই বাহূল্য।
সেই ভূলটাই করে বসলেন মারিও মানজুকিচ। বিশ্বকাপের ফাইনাল মঞ্চে শুরুতেই নিজের জালে বল জড়িয়ে দিলেন মারিও মানজুকিচ। সেমিফাইনালে যার গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ক্রোয়েশিয়া, সেই মানজুকিচই কি না নিজেদের জালে বলটা জড়িয়ে দিলেন। করলেন আত্মঘাতী গোল! সত্যিই যেন বিশ্বকাপ এক বিশাল রঙ্গমঞ্চ। সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল। বিশ্বকাপের আসরে যে কোনো ছোট খাটো ম্যাচে আত্মঘাতী গোল দেওয়া মানেই বাজে এক ইতিহাস নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া। সেখানে বিশ্বকাপের ফাইনালে আত্মঘাতী গোল দেওয়া মানে তো বিশাল পাপ করে ফেলা।
ঠিক সেই কাজটিই করে ফেললেন ক্রোয়েশিয়া স্ট্রাইকার মারিও মানজুকিচ। কোচ জ্লাতকো দালিচ গোল দেওয়ার মূল দায়িত্ব তার কাঁধে দিলেও উল্টো নিজেদের জালে বল ঢুকিয়ে এখন খল নায়ক বনে যাওয়ার পথে এই স্ট্রাইকার। মানজুকিচের জন্য সবচেয়ে দুঃস্বপ্নের ব্যাপার হচ্ছে, বাজে এই অভিজ্ঞতায় তার পাশে আর কেউ নেই। মানে বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম আত্মঘাতী গোল করা খেলোয়াড়ই হলেন মানজুকিচ। সে হিসেবে বাজে এই ইতিহাসের সঙ্গে নাম লিখে ফেললেন মানজুকিচ।
Advertisement
ম্যাচের ১৮ মিনিটে গ্রিজম্যান ফাউলের স্বীকার হলে ফ্রি-কিক পায় ফ্রান্স। কিক নেন গ্রিজম্যান নিজেই। তার নেয়া সেই ফ্রি-কিক মানজুকিচের মাথায় লেগে ঢুকে যায় নিজেদের জালেই।
ক্রোয়েশিয়ার হয়ে গোলটি করেছেন ইভান পেরেসিচ আর ফ্রান্সের দ্বিতীয় গোলটি আসে আন্তোনিও গ্রিজম্যানের নেওয়া প্যানাল্টি থেকে।
এসএস/আইএইচএস
Advertisement