মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্তে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ অটোরিকশা শ্রমিক-মালিকদের আন্দোলন কর্মসূচিতে না যেতে আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ত্রি-পক্ষিয় বৈঠকে জেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ আহ্বান জানান।সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ নিয়ে জটিলতা জতীয় বিষয় মন্তব্য করে বলেন, স্থানীয় কোনো সমস্যা হলে এখান থেকেই সমাধান সম্ভব ছিল। কিন্তু জাতীয় বিষয় হওয়ায় সমাধানে সময় লাগবে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা জটিলতা নিরসনে দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।তবে এ বিষয়টির সমাধান দ্রুত সম্ভব নয় জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং ৯ আগস্ট থেকে সাফ অনূর্ধ্ব ১৬ ফুটবল টুর্নামেন্ট সিলেটে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এজন্য সিলেটের সুনাম ধরে রাখতে অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকদের সকল আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত রেখে পরিস্থিতি স্বভাবিক রাখার আহ্বান জানান তিনি।সভায় জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলা শাখার সভাপতি এজাজুল হক এজাজ বলেন, ১৫ আগস্ট শোক দিবস ও সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল খেলা থাকায় আপাতত কঠোর কর্মসূচিতে যাবে না শ্রমিক সংগঠন। তবে বিভিন্ন পয়েন্টে পথসভা, সমাবেশ, মানববন্ধন ও মিছিল অব্যাহত থাকবে।জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক এজাজ, জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাইওয়ে) শৈলেন চাকমা ও জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া। এছাড়াও প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত, গত ২ আগস্ট সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট জেলায় অনির্দিষ্টকালের অটোরিকশা ধর্মঘট ও মহাসড়কে অবস্থানের আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে। ওই দিন বিকেলে জেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা দুই দিনের জন্য আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেন, যার শেষ দিন ছিল বুধবার।ছামির মাহমুদ/বিএ
Advertisement