ইন্টারনেটের মূল্য দ্রুত সমন্বয় করার অনুরোধ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
Advertisement
রোববার (১৫ জুলাই) দুপুরে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে বিশাল অংকের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী ও তার টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে সহজলভ্য ও ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সেবা পৌছে দেবার উদ্দেশ্যে চলতি বছরের বাজেটে ইন্টারনেটের উপর ১০ শতাংশ ভ্যাট কর্তন করেছেন। যা অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে।
এ বাজেট ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। যার ফলে ইন্টারনেটের মূল্য অনেক কমার কথা। কিন্তু আপনাকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে বাধ্য হচ্ছি, আজ পর্যন্ত অপারেটররা এক পয়সাও ইন্টারনেটের দাম কমায়নি। উল্টো ইন্টারনেটের গতি কম থাকা ও বিভিন্ন অজুহাতে দ্রুত ডেটা কর্তনের ফলে ইন্টারনেট সেবার মূল্য কমার পরিবর্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা কিনা আইনের পরিপন্থি। পূর্বেও ব্যান্ডউইথের দাম সরকার বহুলাংশে কমানোর পরেও অপারেটররা দাম কমায়নি।
Advertisement
আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের উদাসীনতা, অদক্ষতা, অযোগ্যতা ও সৎ মনোভাব না থাকায় অপারেটররা দিন দিন শোষণের মাত্রা বৃদ্ধি করেই চলেছে। বিষয়টি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, মহান সংসদে পাস করার সিদ্ধান্তকেও বৃদ্ধাগুলি দেখাচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর পূর্বের ভ্যাট গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করলেও রাষ্ট্র এ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি রাষ্ট্র ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণার ছাড়া কিছুই না।
স্মারকলিপিতে ইন্টারনেটের মূল্য বর্তমান ব্যান্ডউইথ ও ভ্যাটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অর্থমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কমনা করা হয়।
এএস/এএইচ/পিআর
Advertisement