জাতীয়

শহীদদের সম্মানে ৩০ লাখ গাছের চারা রোপণ ১৮ জুলাই

মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতির সম্মানে ১৮ জুলাই দেশে একযোগে ৩০ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে এসব গাছের চারা লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

Advertisement

রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০১৮, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৮ উপলক্ষে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

পবিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ জুলাই সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করবেন।’

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলা মাঠে সাত দিন পরিবেশ মেলা এবং মাসব্যাপী এই বৃক্ষ মেলা হবে।

Advertisement

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পরিবেশ পদক, বৃক্ষরোপনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার এবং সামাজিক বনায়নের সুবিধাভোগীদের মধ্যে চেক বিতরণ করবেন বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি আরও জানান, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হলেও এবার জুন মাসে রোজা থাকায় এবং গাছের চারা প্রস্তুতির জন্য দিবসটি পালনের সময় পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।

আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- আসুন প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি। জাতীয় বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষ মেলার প্রতিপাদ্য- সবুজে বাঁচি, সবুজ বাঁচাই, নগর-প্রাণ-প্রকৃতি সাজাই।’

পরিবেশ মেলায় অংশ নেয়া স্টলের মধ্যে নির্বাচিত তিনটি স্টলকে সনদ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

দেশে সাড়ে ১০ শতাংশ বন রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেইফটির জন্য ২৫ শতাংশ বন থাকা দরকার। রিয়েলিটি হচ্ছে জায়গা ও জনসংখ্যা মিলিয়ে তা ২০ শতাংশ উন্নীত করা সম্ভব। সামাজিক বনায়ন হচ্ছে, অনেকেই জমিতে গাছ লাগাচ্ছেন। দেশের ২২ শতাংশের মত জায়গা সুবজ আচ্ছাদনের মধ্যে আছি। কেবল বনায়নের মধ্য দিয়ে নয়, সামাজিক বনায়ন ও গৃহস্থলী বনায়ন করতে পারলে ২৫ শতাংশে নিতে পারব। এজন্য সবাইকে সচেতন করতে হবে।’

রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে বনের ক্ষতি নিরূপন করা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির এ নেতা বলেন, ‘কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত বন উজাড় হয়ে গেছে। বনের কাঠ তারা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেছে। তাদের সিলিন্ডার দেয়া যায় কিনা চিন্তা করেছিলাম। তবে সিলিন্ডার থেকে দুর্ঘটনা হলে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সেই ভয়ে সিলিন্ডার দেয়া হয়নি। কয়লা দেয়ার চিন্তাভাবনা আছে। যে বন নষ্ট হয়ে গেছে সেটা রিপেয়ার করা হবে।’

সরকারি কি পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে ব্যর্থ- এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হলে বিকল্প প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল দিতে হবে। পাট দিয়ে পলিথিন বানাতে আমরা টাকা দিতে রাজি আছি। কোন কোন জায়গায় পলিথিন বানাচ্ছে তার সব তথ্য আমরা পাচ্ছি না। আমরা চাই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাক।’

এ সময় পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/জেএইচ/জেআইএম