ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার শিমুল বাজার ও মিয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিকাশ প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোন, সিম কার্ড ও প্রায় ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
Advertisement
রোববার সকাল ৬টার দিকে র্যাব অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা হলেন- মো. বিল্লাল মাতুব্বর (৩০), মো. সোহেল মোল্লা (২২), মো. রাসেল হাওলাদার (২৭), মো. জুয়েল মোল্লা (২১) ও মো.আতিউর রহমান (২৫)।
র্যাব-৮ সূত্রে জানায়, ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানির অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ভাঙ্গা উপজেলার শিমুল বাজার ও মিয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্য মো. বিল্লাল, মো.সোহেল, মো. রাসেল, মো. জুয়েল ও মো.আতিউরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোন, সিম কার্ড ও বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া প্রায় ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারদের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কনিকান্দা, মিয়াপাড়া এবং দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার পলিখাঁপুর গ্রামে।
র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানির অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন জানান, গ্রেফতাররা বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর, লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের অসাধু বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে ভুয়া বিকাশ একাউন্ট খুলে প্রতারণা করে আসছিল।
Advertisement
তিনি আরও জানান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বিকাশ এজেন্ট জনৈক মো. হাবিবুর রহমানের মোবাইল থেকে ৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৫৬ টাকা ও শরিয়তপুর জেলায় কর্মরত জনৈক পুলিশ সদস্যের নিকট হতে প্রতারণার মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এ চক্রটি। এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানায় জিডি করেন ভূক্তভোগীরা। পরে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
মো. রইছ উদ্দিন জানান, এর সূত্র ধরে জেলার ভাঙ্গা উপজেলার শিমুল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিকাশ এজেন্ট বিল্লাল টেলিকমের স্বত্বাধিকারী বিল্লাল মাতুব্বরকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিকাশ প্রতারক চক্রের অপর সদস্যদেরকে উপজেলার মিয়া পাড়া গ্রাম হতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তরসহ থানায় মামলা হয়েছে।
আরএ/এমএস
Advertisement