ঢাকাই সিনেমার নাম্বার ওয়ান খলনায়ক মিশা সওদাগর নানান মন্তব্য করে মাঝে মধ্যেই পড়েন তুমুল বিতর্কের মুখে। গতকাল শনিবার পরিচালক সমিতি আয়োজিত ‘নতুন মুখের সন্ধান ২০১৮’ এর এক অনুষ্ঠানে প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ ও মান্নাকে নিয়ে এক মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছেন। অন্তর্জালে তার প্রতি নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকেই। নায়ক সালমান শাহর সঙ্গে নায়ক মান্নার তুলনা করে সালমানকে ছোট করেছেন বলে অভিযোগ করছেন অনেকেই। অনুষ্ঠানে কী বলেছিলেন মিশা?
Advertisement
শনিবার এ অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে মিশা সওদাগর বলেন, ‘জসিম ভাই ও মান্নার মতো অভিনেতা ও গবেষক নেই বলে আজকে চলচ্চিত্রের এই দশা। আমাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, নায়ক সালমান শাহ মারা যাওয়ার পর চলচ্চিত্রের বেশি ক্ষতি হয়েছে নাকি মান্না মারা যাওয়ায়? আমি অবশ্যই বলবো, মান্না চলে যাওয়ায় চলচ্চিত্রের বেশি ক্ষতি হয়েছে। কারণ তারকা নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। কিন্তু গবেষক নায়ক ছিলেন মান্না। সিনেমা কিভাবে চলবে, দেশের মানুষ কিভাবে খুশি হবেন, ইন্ডাস্ট্রি কিভাবে চালু থাকবে সে বিষয় মান্না তৎপর ছিলেন। আজকের চলচ্চিত্রের যেই দশা, তার অর্ধেক মান্নার মৃত্যুর পর হয়েছে।’
চলচ্চিত্রে শিল্পী সংকট নিয়ে মিশা বলেন, ‘আমাদের আসলে সঙ্কটের শেষ নেই। শিল্পীদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি বলছি, এদেশে শিল্পী নেই। শিল্পী অনেক রকম হয়। কিন্তু মানুষ দেখে খুশি হবেন, দেখে টাকা দেবেন, তালি দেবেন ও মানুষের ভেতর নাড়িয়ে দেবে, এমন শিল্পীর অনেক অভাব। যারা আছেন তারা সংখ্যায় হাতেগোনা ৪ থেকে ৫ জন। ১৮ কোটি মানুষের জন্য ৪ থেকে ৫ জন শিল্পী যথেষ্ট হতে পারে না।’
জনপ্রিয় এ খল-অভিনেতা আরও বলেন, ‘চলচ্চিত্রের সমস্ত দিকে সঙ্কট। বড় সিনেমা হয় না। প্রযোজক নেই। সিনেমা মুক্তির স্থান ঠিক নেই। পরিচালকদের সঠিক সম্মান দিতে পারিনি, পাইরেসি বন্ধ করতে পারিনি তাই তারা অভিমান করে দূরে আছেন।’
Advertisement
‘নতুন মুখের সন্ধানে'র মাধ্যমেই চলচ্চিত্রে পা রেখেছিলেন মিশা সওদাগর। ‘নতুন মুখের সন্ধানে-২০১৮’ প্রসঙ্গে ‘সুপারহিরো’খ্যাত অভিনেতা বলেন, আমি মূলত ঢাকার ছেলে। আমার উচ্চারণসহ অনেকগুলো সমস্যা ছিল। কিন্তু ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার গ্রুমিংয়ের মাধ্যমে আমি একটি ফ্লাটফর্মে দাঁড়িয়েছি। দেরিতে হলেও পরিচালক সমিতির এই উদ্যোগকে আবারও এই আয়োজন করার জন্য স্বাগত জানাই। যারা অনুষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তাদের সাধুবাদ জানাই। আমাদের অনেক শিল্পী প্রয়োজন। ’
এমএবি/এলএ/পিআর