লিওনেল মেসি যে ম্যাচে থাকেন সে ম্যাচের নায়ক অন্য কেউ হয় কী করে? আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এমনই মনে করেছিলেন অনেকে; কিন্তু বাস্তবে হয়েছে আলাদা। মেসির সামনেই ম্যাচের নায়ক হয়ে গেলেন কাইলিয়ান এমবাপে। ফ্রান্সের ১৯ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ডের পারফরম্যান্সের সামনে হারিয়ে গেলেন মেসি। এমবাপে জোড়া গোল করে ফ্রান্সকে তুললেন কোয়ার্টার ফাইনালে। মেসির আর্জেন্টিনার বিদায় দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই।
Advertisement
এমবাপেকে এই বিশ্বকাপ চেনায়নি। ক্লাব ফুটবলেই নিজেকের চিনিয়েছিলেন তিনি। যে কয়জন প্রতিভাবান ফুটবলার এই বিশ্বকাপে আলো ছাড়াবে বলে আগে ধারণা করা হয়েছিল তার মধ্যে ছিলেন এ ফরাসি যুবক। তিনি পেরেছেনও।
ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে এমবাপে কিছু করে দেখাবেন, নিজের জাত চেনাবেন- এই প্রত্যাশা এখন ফরাসিদের। শনিবার ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমবাপেকে নিয়ে বেশ সময় কথা বলতে হলো ফ্রান্সে কোচ দিদিয়ের দেশমকে। এমবাপে এই বিশ্বকাপের তরুণ খেলোয়াড়দের একজন, ফাইনালের সর্বকনিষ্ট। তার দিকে আপনার আলাদা নজর থাকবে কিনা কিংবা তাকে ভিন্নভাবে ব্যবহারের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ফ্রান্স কোচ বলেছেন, ‘সে আমার অন্য ২২ খেলোয়াড়ের মতোই একজন।’
‘এমবাপে ইয়ং প্লেয়ার। সে অনেক প্রতিভার অধিকারী। ইতোমধ্যেই সে তার প্রতিভার প্রতিফলন ঘটিয়েছে মাঠে। সে জানে কখন কী করতে হবে। তবে তাকে নিয়ে আমার আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। কারন, এমবাপে আমার দলের ২৩ ফুটবলারের অংশ। সবাই একই জায়গায় থাকে, একই সঙ্গে অনুশীলন করে। এমবাপেকে নিয়ে আলাদা কিছু ভাবার প্রয়োজন নেই’- বলেছেন ফ্রান্সের কোচ।
Advertisement
আরআই/আইএইচএস/আরএস