সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি (১০১১) যোগে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে শনিবার সৌদি আরবে পৌঁছান। স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
Advertisement
এই সময় আগত হজযাত্রীদের এয়ারপোর্টে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, জেদ্দাস্থ কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ হজ অফিস মক্কার কাউন্সিলর (হজ) মো. মাকসুদুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
উল্লেখ্য, মক্কা, মিনা ও মুজদালিফায় অবস্থানরত কোনো হজযাত্রী মারা গেলে তার জানাজা হয় মসজিদুল হারামে। মদিনায় মারা গেলে তার নামাজের জানাজা হয় মসজিদে নববীতে। কেউ জেদ্দায় মারা গেলে জানাজা হয় জেদ্দায়। মরদেহের গোসল করানো, কাফন পরানো, জানাজা পড়ানো ও দাফন করাসহ যাবতীয় কাজ সৌদির নির্দিষ্ট বিভাগ করে থাকে।
মসজিদুল হারামের পূর্বদিকে অবস্থিত মক্কা শরিফের একটি বিখ্যাত কবরস্থান জান্নাতুল মোয়াল্লা। এই কবরস্থানের কোনো কবর বাঁধানো নয়, নেই কোনো কবরে নামফলক। সেখানে অনেক সাহাবির কবর রয়েছে। আছে নবী করিম (সা.)- এর স্ত্রীদের কবর। আগে হজ করতে এসে কেউ মক্কায় মারা গেলে এখানে কবর দেয়া হতো। এখন স্থান সংকুলান না হওয়ায় ভিন্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
Advertisement
পবিত্র মক্কার রুশাইফায় রয়েছে লাশের গোসল ও কাফনের ব্যবস্থা। হজ পালনকারীদের লাশ বহনের জন্য সরকারি গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশের কোনো কিছু করতে হয় না।
মসজিদে হারামে জানাজার জন্য লাশ গাড়িতে করে কাবা শরিফের দক্ষিণে নবী করিম (সা.)-এর জন্মস্থানের পাশে বাবে ইসমাইলের কাছে রাখা হয়। ফরজ নামাজের পর ইমাম সাহেব লাশ রাখার স্থানে এসে জানাজার নামাজ পড়ান।
এমআরএম/আরআইপি
Advertisement