নারায়ণগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যার মূল আসামি পিন্টু দেবনাথ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। বন্ধু প্রবীর ঘোষকে ৭ টুকরা করে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
Advertisement
পিন্টু দেবনাথ আদালতকে বলেন, অর্থ, বন্ধকি স্বর্ণালঙ্কার ও দোকান আত্মসাতের পরিকল্পনায় বন্ধু প্রবীরকে হত্যা করি। নারীর প্রলোভন দেখিয়ে বন্ধু প্রবীরকে বাসায় ডেকে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিই।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যার মূল আসামি পিন্টু দেবনাথের স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দিতে প্রবীর হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরা করার এবং হত্যার আলামত গুম করার বিস্তারিত বর্ণনা দেন পিন্টু দেবনাথ।
Advertisement
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, পিন্টু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। নারীর প্রলোভন দেখিয়ে বন্ধু প্রবীরকে বাসায় ডেকে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়ার বিষয়টি জানায়। অর্থ, বন্ধকি স্বর্ণালঙ্কার ও দোকান আত্মসাতের জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় পিন্টু।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজের ২১ দিন পর গত ৯ জুলাই রাত ১১টায় শহরের আমলপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার চারতলা ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পিন্টু ওই বাড়ির দোতলার একটি ফ্ল্যাটে থাকত। গত ১৮ জুন রাত থেকে প্রবীর নিখোঁজ ছিল। তার সন্ধান দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ কালিরবাজার স্বর্ণপট্টির ভোলানাথ জুয়েলার্সের মালিক ভোলানাথ ঘোষের ছেলে।
শাহাদাত/এএম/আরআইপি
Advertisement