সারাদিনের কাজের শেষে ক্লান্ত হয়ে পড়ে আমাদের শরীর। হাত, পা চায় একটু বিশ্রাম। তাইতো দিনশেষে বাসায় ফিরে প্রিয় বিছানায় শরীর এলিয়ে দেই। আর তখনই হয়তো সেলফোনটি হাতে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি অনলাইনে। কিন্তু আমাদের চোখদুটিরও যে বিশ্রাম দরকার তা যেন মনেই আসে না।
Advertisement
আমাদের চোখ আমাদের শরীরের অংশ। তাই সারা শরীর ক্লান্ত হলেও চোখও ক্লান্ত হয়ে যায়। আর চোখ ক্লান্ত হলে নানা সমস্যা হতে পারে। মাথার যন্ত্রণাও শুরু হয়। চোখ ভালো রাখার কিছু ব্যায়াম রয়েছে। সেগুলো চোখের চিকিৎসকই জানাতে পারেন। সঙ্গে প্রয়োজন নিয়মিত সুষম আহার আর নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন।
আরও পড়ুন: সুন্দরী হতে চাইলে যেসব ফলের রস খাবেন
রাত জেগে টিভিতে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখা। আবার পরদিন সকালে অফিসে ছুটতে হবে। কাউকে আবার অফিস ফেরত বাজার সেরে বাড়ি ফিরে অফিসেরই কাজ করতে হয়। কেউ ইন্টারনেট-চ্যাটে ব্যস্ত। কারো চোখ টিভিতে। এই রুটিনে চোখ বিশ্রাম পায় না। চোখের আরামও যে প্রয়োজন, সেটা অনেকেই ভুলে যান।
Advertisement
মুখ মুছতে আলাদা নরম তোয়ালে ব্যবহার করা ভালো। তাতে চোখে সংক্রমণের হার অনেকটা এড়ানো যায়। যারা চশমা ও সানগ্লাস নিয়মিত ব্যবহার করেন তাদের সেসব পরিষ্কার রাখতে হবে। চশমার অস্বচ্ছ কাঁচ কিন্তু দৃষ্টিশক্তির সমস্যা তৈরি করে। যারা কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন, তারা সবসময় জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে লেন্স পরবেন। খোলার সময়েও একই নিয়ম। লেন্সে যাতে ধুলোবালি না ঢোকে খেয়াল রাখতে হবে।
অনেকে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোবাসেন। বৃষ্টির পানিতে বায়ুমণ্ডল থেকে অসংখ্য জীবাণু ও দূষিত উপাদান ঢুকে পড়ে। তাই বৃষ্টির পানি চোখে না লাগানোই ভালো। বাসায় ফিরে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার পানিতে হালকা ঝাপটা দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা দরকার।
আরও পড়ুন: দ্রুত ক্লান্তি কাটাবে যেসব খাবার
ছোট মাছ চোখের পক্ষে খুব ভালো। এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। অন্যকোনো সমস্যা না থাকলে খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন একটা সেদ্ধ ডিম থাকলে ভালো। প্রতিদিন তাজা শাক-সবজি ও মৌসুমি ফল খেলে চোখ ভালো থাকে।
Advertisement
প্রয়োজনীয় অনেক কাজই কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনে সারেন অনেকে। একটানা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের অস্বস্তি হয়। যা পরবর্তী কালে সমস্যা করতে পারে। টিভি দেখার সময় একটু দূর থেকে দেখাই ভালো।
এইচএন/এমএস