১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসেই সবাইকে চমকে দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বের বাঘা বাঘা দলগুলোকে পেছনে ফেলে জিতেছিল তৃতীয় সেরার পুরস্কার। সেই ক্রোয়েশিয়াই এবার নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপে এসে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালে।
Advertisement
রোববার লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচে খেলবে তারা ফ্রান্সের বিপক্ষে। মাত্র সাড়ে চার মিলিয়ন বা প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের বসবাস ক্রোয়েশিয়ায়। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এত কম জনসংখ্যার কোনো দেশ আগে কখনো ফাইনাল খেলেনি। ক্রোয়েশিয়ানরা প্রথমবারের মতো গড়ল এই ইতিহাস।
নিজেদের দেশের সবচেয়ে বড় এই সাফল্যে আনন্দে উত্তাল পুরো ক্রোয়েশিয়া। ফাইনাল ম্যাচে মাঠের খেলায় মূলত ১১ জন খেললেও অদৃশ্য খেলোয়াড় হিসেবে ক্রোয়েশিয়ার সকল নাগরিকই লুঝনিকিতে উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ।
এই ম্যাচটি পুরো ক্রোয়াট জাতির জন্য ঐতিহাসিক উল্লেখ করে রাকিটিচ বলেন, ‘এই ম্যাচটি শুধুমাত্র মাঠে থাকা ১৪-১৫ জন খেলোয়াড়ের জন্য ঐতিহাসিক নয়। পুরো ক্রোয়াট জাতির জন্য এটি বিশেষ এক ম্যাচ। ফাইনাল ম্যাচের দিন মাঠে পুরো ৪৫ লাখ মানুষ থাকবে! সবাই নিজেদের মতো করে খেলবে এই ফাইনাল।’
Advertisement
এ সময় নিজ দেশে ফুটবল উন্মাদনা সম্পর্কেও ধারণা দেন রাকিটিচ। লুঝনিকিতে যদি জায়গা দেয়া যেত তাহলে ৪৫ লাখ মানুষের সবাই রাশিয়ায় চলে আসতো বলে জানান বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার।
রাকিটিচ বলেন, ‘গত এক মাসে ক্রোয়েশিয়া থেকে আসা কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখুন। তাহলেই বুঝবেন বিশ্বকাপ কতটা ছুঁয়ে গেছে আমাদের মানুষদের। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। সবার ঐক্যবদ্ধতা, একত্রে আনন্দে করা, সম্মান, গর্ব, অহঙ্কার; এগুলো আসলে বর্ণনা করা সম্ভব না। স্টেডিয়ামে যদি জায়গা থাকতো তাহলে ৪৫ লাখ মানুষ দিয়ে এটি ভরা থাকতো।’
এসএএস/এমএস
Advertisement