ইমাম-উল-হকের সেঞ্চুরিতে বেশ বড় পুঁজিই পেয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তবে আধুনিক ক্রিকেটে ৩০৯ রানের লক্ষ্যকে একেবারে অসম্ভব বলার উপায় নেই। ঘরের মাঠ বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ে অন্ততপক্ষে লড়াইটা করতে পারবে, আশা ছিল সমর্থকদের। তবে সেটা সম্ভব হয়নি পাকিস্তানী বোলারদের তোপে। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০৭ রানেই গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান ম্যাচটা জিতেছে ২০১ রানে।
Advertisement
এটি এই বছর ওয়ানডেতে পাকিস্তানের প্রথম জয়। এই ম্যাচের আগে ২০১৮ সালে পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছে আনপ্রেডিক্টেবলরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই পাঁচ ওয়ানডেতেই হার দেখতে হয় তাদের।
৩০৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটা সময় ২ উইকেটে ৪৫ রান ছিল জিম্বাবুয়ের। আর ৬২ রান তুলতে শেষ ৮টি উইকেট হারিয়েছে তারা। ১৫ ওভার বাকি থাকতেই ১০৭ রানে থেমেছে স্বাগতিকদের ইনিংস। একাই যা একটু লড়াই করেছেন রায়ান মুরি। শেষ পর্যন্ত ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের পক্ষে ৩২ রানে ৪টি উইকেট নিয়েছেন লেগস্পিনার শাদাব খান। ২টি করে উইকেট নেন দুই পেসার উসমান খান আর ফাহিম আশরাফ।
Advertisement
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। ফাখর জামান আর ইমাম-উল-হকের উদ্বোধনী জুটিতেই শক্ত ভিত পেয়ে যায় সফরকারিরা। ১১৩ রানের জুটিটি ভাঙে ফাখর আউট হলে। ৭০ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬০ রান করেন তিনি।
সঙ্গী হারিয়েও দমে যাননি ইমাম-উল-হক। একের পর এক জুটি গড়তে থাকেন। বাবর আজম ৩০ আর শোয়েব মালিক ২২ রান করে সাজঘরে ফিরেন। তবে সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি ইমাম। ১৩৪ বলে ১১ বাউন্ডারিতে গড়া তার ১২৯ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটি থামিয়েছেন মুজারবানি। পাকিস্তানের রান তখন ৪ উইকেটে ২৬৮।
ইমাম ফেরার পর অল্প সময়েই আরও কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ৪৮তম ওভারে ফাহিম আশরাফ (০) আর ঝড় তোলা আসিফ আলীকে (২৫ বলে ৪৬) ফিরিয়ে দেন চাতারা। তাতে রানের গতি কিছুটা আটকে যায়। শেষ সময়ে অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ (৯ বলে অপরাজিত ১৩) দলকে তিনশো পার করে দেন। পাকিস্তান তুলে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান।
এমএমআর/পিআর
Advertisement