গাজীপুরের টঙ্গীতে স্ত্রীকে হত্যার পর দাফনের নামে কাফনের কাপড়ের টাকা উত্তোলন করে পালানোর সময় আনিসুর রহমান (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দক্ষিণ আউচপাড়া ব্যঙ্গলের মাঠ বস্তিতে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারীর নাম মৌসুমী আক্তার (২২)। নিহত মৌসুমী পঞ্চগড় জেলা সদরের আমলাহার গ্রামের মনজুর হকের মেয়ে। গ্রেফতারকৃত আনিসুর রহমান দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়া উপজেলার উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামের আনসার আলীর ছেলে। পুলিশ ও বস্তিবাসী সূত্রে জানা যায়, আনিসুর রহমান স্ত্রী মৌসুমীকে নিয়ে টঙ্গীর বেঙ্গলের মাঠ বস্তির সিরাজের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। আনিস একেক সময় একেক কাজ করে সংসার চালাতো। এর আগেও তিনি আরো চারটি বিয়ে করে। এ খবর জানতো না মৌসুমী। এ নিয়ে গত পাঁচ মাস ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আর এরই জের ধরে সকালে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়।একপর্যায়ে স্বামী আনিছুর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে থাকা ধারালো বটি দিয়ে মৌসুমীর মাথায় ও গলায় এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৌসুমীর মৃত্যু হয়। আনিস মৌসুমীর মরদেহ ঘরে কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে বাহির দিক থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং কাফনের টাকা উত্তোলন করতে পাশের এলাকায় সাহায্যের জন্য বেরিয়ে পড়ে।প্রায় দেড় হাজার টাকা উত্তোলন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। সকাল ১০টার দিকে বস্তিবাসীদের মাধ্যমে পুলিশ খবর পেয়ে আনিসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় তার কাছে ১০ টাকা ও ৫ টাকার নোট মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার টাকা, কাফনের কাপড় ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি দা জব্দ করে। পুলিশ জানায়, নিহতের মাথা ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় টঙ্গী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।টঙ্গী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আমিনুল ইসলাম/এআরএ/আরআইপি
Advertisement