গণমাধ্যম

বিএফইউজে নির্বাচন : প্রশংসা কুড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন

রাজধানীর তোপখানা রোডের জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

Advertisement

গত ৬ জুলাই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শ্রম আদালতের নির্দেশে নির্বাচনের ঠিক আগের দিন অর্থাৎ ৫ জুলাই নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে রিট খারিজ হলে ১৩ জুলাই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়।

ভোটের হিসাবনিকাশ, ভোট প্রার্থনার জন্য প্রার্থীদের ছোটাছুটি, পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে কর্মীদের সশরীরে উপস্থিতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তর্ক-বিতর্কে নির্বাচনী প্রচারণা জমে ওঠে। তবুও নির্বাচন কেমন হবে, হট্টগোল হবে কি না তা নিয়ে ভোটারদের মনে অজানা শঙ্কা ছিল।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহনের জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহন করে তা দেখে বিস্মিত ও মুগ্ধ ভোটাররা। আগের মতো ভোট কেন্দ্রের সামনে নেই প্রার্থী সমর্থকদের হৈ চৈ, ভোটার এলেই টানা-হেঁচড়া করে দৃষ্টি আকর্ষণ ও প্রার্থীর কার্ডের ছড়াছড়ি।

Advertisement

নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কারণে প্রেসক্লাব সংলগ্ন টেনিস গ্রাউন্ডে প্রবেশপথের বাইরেই সব প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রচারণা সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। ভোটারদের দেয়া ছোট-বড় নির্বাচনী কার্ডও ওই সীমানার বাইরেই রেখে যেতে হচ্ছে। ভোটারদের সুবিধার্থে বাইরে হাউস অনুযায়ী ভোটারের নাম ও নম্বর সম্বলিত ব্যানার টানিয়ে দেয়া হয়েছে। ভোটাররা খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে টেনিস গ্রাউন্ড সংলগ্ন পথ দিয়ে পায়ে হেঁটে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারছেন। ভেতরে বিভিন্ন এজেন্টদের সারিবদ্ধভাবে বসতে দেখা যায়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলমগীর হোসেন, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম রতন ও হাসান আরেফিনকে অডিটোরিয়ামের ওপর ডায়াস থেকে সার্বিক নির্দেশনা দিতে দেখা যায়। অডিটোরিয়ামের ভেতরেও পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথ দেখা যায়। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটাররা সবাই খুশি। সবার এক কথা এর আগে সাংবাদিকদের কোনো নির্বাচনে এতো সুন্দর পরিবেশ ছিল না।

মোট চার হাজার ১৪১ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এবারের নির্বাচনে ফারুক-শাবান-দীপ পরিষদ এবং জলিল-কাজল-মধু পরিষদ ছাড়াও অনেকে স্বতস্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ফারুক-শাবান-দীপ পরিষদে সভাপতি পদে ওমর ফারুক, সহ সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও মহাসচিব পদে শাবান মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব রফিকুল ইসলাম সবুজ, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ এবং দফতর সম্পাদক পদে হেমায়েত হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- স্বপন দাস গুপ্ত, মফিদা আকবর, শফিউদ্দিন আহমেদ বিটু ও নুরে জান্নাত সীমা।

Advertisement

জলিল-কাজল-মধু পরিষদে সভাপতি পদে আবদুল জলিল ভুঁইয়া, সহ সভাপতি ড. উৎপল কুমার সরকার ও মহাসচিব পদে জাকারিয়া কাজল, যুগ্ম-মহাসচিব নাসিমা আক্তার সোমা, কোষাধ্যক্ষ মধুসুদন মণ্ডল এবং দফতর সম্পাদক পদে বরুণ ভৌমিক নয়ন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া এ পরিষদে নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, জহুরুল ইসলাম টুকু, খায়রুজ্জামান কামাল, শেখ মামুনূর রশিদ ও আখতার জাহান মালিক।

এ নির্বাচনে পরিষদের বাইরেও সভাপতি পদে স্বতস্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোল্লা জালাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কোষাধ্যক্ষ পদে নজরুল কবির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। যুগ্ম-সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুল মজিদ, খায়রুল আলম, দীপংকর গৌতম, ফজলুল হক বাবু ও মানিক লাল ঘোষ। দফতর সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী লড়ছেন রেজাউল করিম রেজা।

পরিষদের বাইরে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকরীরা হলেন- সেবিকা রানী, মীর আফরোজ জামান, আবদুল খালেক লাভলু, শামসুর রহমান ও আখতার জাহান মালিক। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, যশোর, ময়মনসিংহ, নারায়নগঞ্জ, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া ও বগুড়ার ভোটাররাও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এমইউ/এনএফ/এমএস