জাতীয়

শনিবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

দেশে ৬ মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই কোটির অধিক শিশুকে আগামী ১৪ জুলাই (শনিবার) ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সুস্থ জাতি গঠনের লক্ষ্যে দেশের সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর কর্মসূচিকে সফল করতে হবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, শনিবার দেশের ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্র ছাড়াও ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সকল কেন্দ্র খোলা থাকবে। ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরীঘাট, ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে দুইজন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে ক্যাম্পেইন দিবসেই ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। তবে দুর্গম এলাকা হিসাবে ১২টি জেলার ৪২টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্যাম্পেইন পরবর্তী ৪ দিন (১৫-১৯ জুলাই) শিশুদের সার্চিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ৬-১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৪ লাখ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের ভরা পেটে কেন্দ্রে আনতে হবে এবং জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো ঠিক হবে না। এছাড়া অসুস্থ শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিষয়ে অপপ্রচার চালালে ব্যবস্থা

কুচক্রী মহলের নেতিবাচক প্রচারণায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার জন্য গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের ব্যবসায়ীক স্বার্থে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিষয়ে অপপ্রচার চালায়। এসব অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো নিদির্ষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর জন্য অপরিহার্য ও নিরাপদ। এ ক্যাপসুল খেলে শিশুর কোনো ক্ষতি হবে না, বরং রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পেতে এবং শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা ও রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।

Advertisement

এমইউএইচ/আরএস/আরআইপি