৫২ বছর আগে ১৯৬৬ সালে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ জয় ব্যতীত আর কখনো ফাইনালেই উঠতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৫২ বছর পর ট্রফি জয়ের মিশনে এসে ফাইনালের পথে এক পা দিয়েই রাখলো ডেভিড ব্যাকহাম, স্টিভেন জেরার্ডদের উত্তরসুরিরা।
Advertisement
লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলের লিড নিয়েছে ইংলিশরা। কেইরান ট্রিপারের করা গোলে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। ক্রোয়েশিয়ান অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ ডি বক্সের বাইরে দেলে আলিকে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় ইংল্যান্ড।
সরাসরি শটে গোল করে নিজ দলকে এগিয়ে দেন ট্রিপার। ২০০৬ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে ফ্রি কিক থেকে গোল পায় ইংল্যান্ড। এছাড়া চলতি বিশ্বকাপে সেট পিসে করা তাদের নবম গোল ছিল এটি। ম্যাচের শুরুতেই গোল করে মানসিকভাবে এগিয়ে যায় থ্রি লায়নসরা।
অন্যদিকে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার সুখস্মৃতিকে আরো বাড়িয়ে নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা ক্রোয়েশিয়া, এক গোল হয়ে হয়ে পড়ে ছন্নছাড়া। প্রথম গোলের ধাক্কা গুছিয়ে উঠতে চলে যায় আরো কিছু সময়। এই সুযোগে বারবার ক্রোয়েটদের রক্ষণ কাঁপিয়ে তোলেন হ্যারি কেইন, ডেলে আলিরা।
Advertisement
ম্যাচের ২২তম মিনিটে বাজে এক ভুল করে বসেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ড্যানিয়েল সুবাসিচ। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তিনি দিয়ে দেন রহিম স্টার্লিংয়ের পায়ে। স্টার্লিং দুর্দান্ত চতুরতায় তা কেইনকে দিলেও, অফসাইডের ফাঁদে ধরা পড়েন ইংলিশ অধিনায়ক। সেই যাত্রায় বেঁচে যান সুবাসিচ।
এর খানিক বাদে উইং দিয়ে ইংল্যান্ডের রক্ষনে আক্রমণ সাজায় ক্রোয়েশিয়া। ছোট ছোট পাসে সামনে এগিয়ে হুট করেই বুলেট গতির শট নেন আনতে রেবিক। তবে ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড সতর্ক থাকায় গোল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় ক্রোয়েশিয়া।
পুরো প্রথর্মাধে পরিচ্ছন্ন ফুটবলের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দুই দল। যার ফলে ৪৫ মিনিটে একবারের জন্যও কোন কার্ড বের করতে হয়নি রেফারিকে। তবে প্রথমার্ধের ৫৩ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেও কাজের কাজ গোল করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। এসময় ইংল্যান্ডের ২টি শটের বিপরীতে ক্রোয়েশিয়া গোলমুখে করে ৩টি শট।
ইংল্যান্ড একাদশ : জর্ডান পিকফোর্ড (গোলরক্ষক), কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস, হ্যারি ম্যাগুইরে, কেইরান ট্রিপার, অ্যাশলে ইয়াং, হেসে লিনগার্ড, জর্দান হেন্ডারসন, ডেলে আলি, হ্যারি কেইন (অধিনায়ক), রাহিম স্টার্লিং।
Advertisement
ক্রোয়েশিয়া একাদশ : ড্যানিয়েল সুবাসিচ, সিমে ভ্রাসালকো, ইভান স্ট্রিনিচ, ডেজান লভরেন, ডোমাগজ ভিদা, ইভান রাকিটিচ, লুকা মদ্রিচ (অধিনায়ক), ইভান পেরেসিচ, ব্রোজোভিচ, মারিও মানজুকিচ, আনতে রেবিক।
এসএএস/বিএ