আনসারুল্লাহ ও আল-কায়েদার বাণী ছড়িয়ে দিত ইসহাক

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের মিডিয়া উইংয়ের কো-অর্ডিনেটর (সমন্বয়ক) মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক খানকে (৩২) আটক করেছে র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা। র‌্যাবের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইসহাক জানায়, আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান জসীম উদ্দিন রাহমানী ও আল-কায়েদা নেতা আনোয়ার আল আওয়ালাকীর বাণী সংরক্ষণ করে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিত সে।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইসহাক আনসার আল ইসলামের মিডিয়া উইংয়ের অন্যতম সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি স্বীকার করেছে। সে সংগঠনের পক্ষে উগ্রবাদী লেখনীর মাধ্যমে যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে কর্মী সংগ্রহ ও প্রচারণায় লিপ্ত ছিল।

‘ইসহাক ২০০৬ সালে জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা, মোহাম্মদপুর হতে দাওরা হাদিস পাস করেন। এ সময় তার শিক্ষক আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা জসীম উদ্দীন রাহমানীর সংস্পর্শ লাভ করেন। পরবর্তীতে রাহমানীর নৈকট্যে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে উগ্রবাদী প্রচারণা ও দাওয়াতে অংশগ্রহণ করতে থাকে। ইসহাক এ সময় খান প্রকাশনী নামে একটি নিজ প্রকাশনী সংস্থা স্থাপন করে রাহমানীর বিভিন্ন উগ্রবাদী লেকচার ও মতাদর্শ বই আকারে প্রকাশ করে আসছিল। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে রাহমানী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর ইসহাক আত্মগোপনে চলে যায়।

ইসহাক ‘খান প্রকাশনী’ ও ‘মাকবুল প্রকাশনী’ নাম দিয়ে রাহমানী ও আনওয়ার আল আওলাকীসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিতর্কিত ধর্মীয় নেতার উগ্রবাদী বইসমূহ সংকলন করে প্রকাশ করতে থাকে। বাংলাবাজারের ইসলামী টাওয়ারে তার প্রকাশনী অফিস রয়েছে। এছাড়াও ইউটিউবে এমডি ইসহাক খান নামে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী লেকচারের অডিও ক্লিপ রয়েছে। লাইট হাউজডটকম নামীয় ব্লগ পেজে সে তার উগ্রবাদী মতবাদ প্রচারণা করে থাকে। সে গাজওয়াতুল হিন্দ এ বিশ্বাস করে। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে মারকাজুল কোরআন ওয়াল হিকমাহ নামে সে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছে। উক্ত মাদরাসার কোমলমতি ছাত্রদের মাঝে সে উগ্রবাদে প্রচারণা করছে। এছাড়াও আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন সদস্যদের নিয়মিত বৈঠক তার বাসায় অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইসহাকের ভাই আশরাফ আলী খান আনসার আল ইসলামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার আরেক ভাই রাকিব নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য এবং বর্তমানে কারাগারে আছে।

এআর/জেএইচ/পিআর