নিখোঁজের আট দিন পর লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খোরশেদ আলমের (২৮) বস্তাভর্তি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার পেয়ারাপুর এলাকায় পাউবোর খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহত খোরশেদ লক্ষ্মীপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।পুলিশ জানায়, খোরশেদ তালিকাভুক্ত ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে থানায় ৯/১০ মামলা রয়েছে।নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গত ২৯ জুলাই বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়ার সময় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফসার উদ্দিন রুবেল খোরশেদ আলমকে বিনা কারণে আটক করে। এরপর সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্নস্থানে খোঁজ নিলেও তার সন্ধান মেলেনি। এ নিয়ে রোববার দুপুরে স্থানীয় একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে সুস্থ অবস্থায় খোরশেদকে ফিরে পেতে আকুতি জানায় তার পরিবার।নিহত খোরশেদের মা নুরজাহান বেগম বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে আমার ছেলেকে গ্রেফতারের পর থেকে অস্বীকার করেছে। তারা (পুলিশ) পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর মরদেহ খালে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা বিচার চাই।অভিযোগ অস্বীকার করে লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া জানান, খোরশেদকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত ছিলেন। সন্ত্রাসীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। কাজল কায়েস/এআরএ/পিআর
Advertisement