আর মাত্র তিনদিন পর (আগামী ১৪ জুলাই) থেকে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবারের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
Advertisement
এ বছর বাংলাদেশ থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৭৯৮ জন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত ৫২৮টি এজেন্সি অর্থাৎ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজারসহ মোট এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জনের পবিত্র হজ পালনের কথা রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৫২৮টি হজ এজেন্সির মধ্যে ৩০২ এজেন্সি সৌদি আরবে এখনও বাড়িভাড়ার কাজ শেষ করতে পারেনি। বিপুল সংখ্যক এজেন্সির মোনাজ্জেমরা (হজ এজেন্সির প্রতিনিধি) এখন সৌদি আরবে অবস্থান করে বাড়িভাড়া করার জন্য দৌড়ঝাপ করছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ১০ জুলাই পর্যন্ত বেসরকারি মোট ৫২৮টি এজেন্সির মধ্যে মাত্র ২৩৮টি এজেন্সি বাড়িভাড়ার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ (তাসফিয়া) সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ে অনলাইনে আবেদন জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২২৬টি এজেন্সিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ হিসাবে ২৯০টি এজেন্সি এখনও বাড়িভাড়ার আবেদনই জমা দেয়নি। আর আবেদন করা এজেন্সির মধ্যে বাদ পড়েছে বা অনুমোদন পায়নি ১২টি এজেন্সি। অর্থাৎ এখনো ৩০২টি এজেন্সি বাড়িভাড়া করতে পারেনি।
Advertisement
তবে সূত্র জানায়, দিন যত গড়াচ্ছে বাড়িভাড়া করে তাসফিয়া জমা দেয়া এজেন্সির সংখ্যা বাড়ছে। দিন তিন আগেও বাড়িভাড়া সম্পন্ন হয়েছিল মাত্র ৯০টি এজেন্সির। সে হিসাবে এখন দ্রুতগতিতে কাগজপত্র সাবমিট করার কাজ চলছে। তবে সেদিক থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনা অনেকটা এগিয়ে। তারা অনেক আগেই সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য বাড়িভাড়া ঠিক করে এসেছেন।
নিয়মানুসারে যে কোনো হজ এজেন্সি সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয়ের কাছে অনলাইনে হজযাত্রীদের জন্য বাড়িভাড়া ও ক্যাটারিং সরবরাহ নিশ্চিত করার পর হজযাত্রীদের ভিসা প্রদানের অনুমতি দেয়া হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ জুলাই পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনার ৬ হাজার ৩০২ জন হজযাত্রী ও বিভিন্ন টিমের ২৪৮ জনেরসহ ৬ হাজার ৫৫০ জনের ভিসা হয়ে গেছে। অপরদিকে বেসরকারি এক লাখ ২০ হাজার হজযাত্রীর মধ্যে মাত্র ১৬ হাজার ৭০৯ জনে ভিসা হয়েছে।
গত সোমবার সচিবালয়ে এ বছরের হজ কার্যক্রমের প্রস্তুতির সর্বশেষ অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য জাতীয় হজ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। এতে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি ১৪৩৯ হিজরি/২০১৮ এর নির্দেশনা অনুসারে মন্ত্রী দাবি করেন, এ বছর হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিপর্যয়ের কোনো সম্ভাবনাই নেই।
Advertisement
৩০২ এজেন্সির বাড়িভাড়া না করতে পারার বিষয়ে জানতে চাইলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তছলিম জাগো নিউজকে বলেন, ই-হজ ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন জটিলতার কারণে বাড়িভাড়া ও খাবার-দাবারের ব্যবস্থার প্রযোজনীয় ডকুমেন্ট অনলাইনে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ে জমা দিলেও সবুজ সংকেত পেতে দেরি হয়।
তিনি জানান, এ মাসজুড়ে ভিসা করার সুযোগ রয়েছে। তাই হজযাত্রা বা ভিসা নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই।
এমইউ/জেডএ/আরআইপি