দুর্দান্ত খেলছে ইংল্যান্ড। ১৯৯৬ সালের ইউরোর পর তারা প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে। ১৯৬৬ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ারও হাতছানি তরুণ দলটির। কিন্তু সমস্যা ওই একটাই, তরুণ দল! অনভিজ্ঞ দলটি যে কোনো সময় চাপে ভেঙে পড়তে পারে, এই শঙ্কা থাকছেই। সেই চাপটা যাতে মাথায় না আসে সেজন্য সেমিফাইনালকে আর দশটা ম্যাচের মতোই ভাবার পরিকল্পনা ইংলিশ ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেটের।
Advertisement
আজ মস্কোতে ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে লড়বে ইংল্যান্ড। সর্বশেষ ইংলিশরা যখন সেমিফাইনাল খেলেছিল (১৯৯৬ সালের ইউরোতে), তখন চাপেই ভেঙে পড়েছিল। জার্মানির বিপক্ষে টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিস করেছিলেন বর্তমান কোচ গ্যারেথ সাউথগেটই।
সেই দুঃস্মৃতি এখনও নিশ্চয়ই তাড়িয়ে বেড়ায় সাউথগেটকে। এবার সেই দুঃস্মৃতি ভোলার সুযোগ কোচ হিসেবে। প্রথম ধাপ সেমিফাইনাল পার হওয়া। সাউথগেট সেই চাপটা আর মাথায় দিতে চান না তার শিষ্যদের। তিনি তার দলের প্রস্তুতি নিয়ে বলেন, 'আমরা প্রস্তুতি ক্যাম্পে সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করেছি। এই ম্যাচের জন্যও আমাদের প্রস্তুতি বদলাবে না। আমার মনে হয়, তাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে কিছু বদলানোর দরকার নেই। আলাদা কিছু করার দরকার নেই। এক কথায় বললে, অন্য পর্যায়ের কিছু খুঁজে বের করারও প্রয়োজন নেই।'
রাশিয়ায় আসার আগে ২০০৬ সালের পর একটি নকআউট ম্যাচও জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। এবার তারা শেষ ষোলতে টাইব্রেকারে হারিয়েছে কলম্বিয়াকে। কোয়ার্টার ফাইনালে সুইডেনের বিপক্ষে জিতেছে সহজেই। তরুণ দলটি এতদূর চলে আসবে সেটা ভাবেননি সাউথগেটও।
Advertisement
তবে ২৮ বছর যখন সেমিতে উঠা গেছে, তখন শুধু ফুটবলটা উপভোগ করে যেতে চায় ইংল্যান্ড, কোনো চাপ মাথায় না নিয়ে। সাউথগেট বলেন, 'আমরা এখানে ফুটবলটা উপভোগ করতে এসেছি। আমরা এই টুর্নামেন্টের তরুণ দলগুলোর একটি। সবচেয়ে অনভিজ্ঞ দল। আমরা নিশ্চিত ছিলাম না, এই দলটা কতদূর যেতে পারে। খেলোয়াড়দের মধ্যে ক্ষুধাটা দেখা যাচ্ছে। ম্যাচে আমরা কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গেও মানিয়ে নিতে পারছি।'
এমএমআর/জেআইএম