ভালোবাসা, অন্যের সহানুভূতি পেতে কে না চায়! কিন্তু আপনি চাইলেই তো আর হবে না। অনেকেই আপনাকে বলবে ভালোবাসে। কিন্তু সত্যিকারর্থে তাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো আপনাকে ইর্ষা করে। এ এক মুশকিল। যারা সারাক্ষণই ভালোবাসার কথা জানান দিচ্ছে, তাদের মধ্য থেকে কে ভালোবাসে আর কে বাসে না, কীভাবে বুঝবেন! আবার বিশ্বাস করে একান্ত কিছু শেয়ার করলেও একটা সময় দেখা যাবে তারা সেটারই সুযোগ নিচ্ছে। একটু খেয়াল করলেই কিন্তু বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: আপনি কোন ধরনের সেলফি তোলেন?
আপনার সামনে প্রশংসা করেন, অথচ, চোখের আড়াল হলেই নিন্দেমন্দ করেন- এমন মানুষের থেকে দূরে থাকুন। ঈর্ষার অন্যতম নিদর্শন কিন্তু এই দু’মুখো আচরণ। আপনার সামনে নিজেদের স্বভাব লুকিয়ে রেখে আপনাকে ভুল বোঝাবে বলেই এমন মানুষজন সামনে ‘ভালোমানুষ’ সেজে থাকেন। ভালো কথার আড়ালে আসলে বদনাম করেন। সতর্ক হোন এদের বিষয়ে।
কেউ কি আপনাকে অনুকরণ করেন খুব? অনুকরণকারীদের মনে লুকিয়ে থাকে গোপন ঈর্ষার বীজ। আপনার কোনো বিষয় কারো প্রশংসনীয় মনে হলে, তিনি আপনার পথ অনুসরণ করতেই পারেন, কিন্তু অনুকরণ মোটেও স্বাভাবিক প্রবণতা নয়। তাই এড়িয়ে চলুন এই রকম মানুষদের।
Advertisement
আপনার সাফল্যকে হেলাফেলা করাই এদের কাজ। সেজন্য তারা বহু উপায় বের করতে পারেন। তাই জীবনের পথে কোনো সাফল্য এলে এদের সঙ্গে ভাগ করার প্রয়োজনই নেই। একান্ত বলতেই হলে হেলাফেলার উত্তরও দিন বিনীতভাবে, বুদ্ধি খাটিয়ে। আপনি যে আঘাত পেয়েছেন, তা বুঝতে দিলে তারা কিন্তু খুশিই হবেন।
আপনার কোনো ভুলকে ‘টার্গেট’ করাই তাদের লক্ষ্য। যে ভুল তুচ্ছ, তাকেও নানা যুক্তিতে, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে তোলাই তাদের কাজ। এমন কাজ দেখে সহজেই চিনুন তাদের। ছোট ভুল নিয়ে অকারণ অশান্তি হলে রুখে দাঁড়ান। বুঝিয়ে দিন, এ সবে আপনি ভয় পান না, বরং তাদের ভুলগুলোও যে আপনার মনে থাকে তা বুঝিয়ে দিন।
সুখের দিনে মানুষের অনেক বন্ধুই থাকে। আবার বিপদে তাদের অনেককেই পাশে পাওয়া যায় না। হিংসুটেরা কিন্তু আপনার বিপদের দিনের সুযোগ নিতে ছাড়ে না। বিপদে বন্ধুর ছদ্মবেশে এসে আপনাকে ভুল পথে চালনা করাই তাদের কাজ। তাই বিপদে পড়লেও চোখ-কান খোলা রাখুন। কে প্রকৃতই বন্ধু, আর কে বন্ধুর বেশে ক্ষতি চাইছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ভাঙার পরে যা করবেন
Advertisement
আপনার সম্পর্কে গুজব ছড়াতে তাদের জুড়ি নেই। অফিস হোক বা বন্ধুমহল- এমন দু’-এক জন থাকবে না এমন আশা করাই বৃথা। কাজেই এদের খুব একটা পাত্তা না নিয়ে বরং কাছের জনদের সতর্ক করে দিন এদের স্বভাব সম্পর্কে। অন্তত তারা আপনার সম্পর্কে কিছু বললে, যেন তা যাচাই করে তবেই বিশ্বাস করেন। নিজেও তাদের কথা বিশ্বাস করবেন না।
এইচএন/জেআইএম