আইন-আদালত

বিচারকার্যে বিলম্ব হলে জনগণ আস্থা হারায় : আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আমরা চাই বিচারকার্যে যাতে বিলম্ব না হয়। কারণ বিচার বিলম্বিত হওয়ায় শুধু যে বিচারপ্রার্থী জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তা নয়। বিচার বিলম্বিত হওয়া মানে হচ্ছে বিচার বিভাগের ব্যর্থতা এবং বিচার বিভাগের ব্যর্থতার শেষে যেটা হয় তাহলো বিচার বিভাগের ওপর জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলা। সেটা যদি হয় তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। এই ভয়াবহ পরিণতি হচ্ছে স্ট্রিট জাস্টিস।’

Advertisement

তিনি বলেন, আমি নিশ্চয়ই স্ট্রিট জাস্টিসের পক্ষপাতী না। আমি আইন নিজের হাতে তুলে নিতে নিরুৎসাহিত করবো এবং কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা কমাতে হবে। আর বিচার বিভাগের প্রতি যাতে জনগণের আস্থা না কমে সেজন্যই আমাদের কাজ করা উচিত।’

মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পর্যায়ের শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) এর অ্যাডভোকেসি ফোরাম চাইল্ড পার্লামেন্টের বার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, মামলা জট নিরসনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং শিগগিরই আর একটি সিস্টেম চালু করতে হবে সেটা হচ্ছে জাস্টিস অডিট।

Advertisement

তিনি বলেন, এই জাস্টিস অডিট সিস্টেমে আমরা ঘরে বসেই মামলার ধরণ ও মামলার অবস্থা সম্বন্ধে জানতে পারবো এবং মামলার অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবো। এই জাস্টিস অডিট সিস্টেম চালু করলে আমাদের অনেক অগ্রগতি হবে।

মন্ত্রী বলেন, শিশু অপরাধ সম্পর্কিত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যাচ্ছে। এ মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সারাদেশের সরকারি প্রসিকিউটরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে শিশু রাজন হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার বিচার অতি দ্রুত সম্পন্ন হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি মামলার দীর্ঘসূত্রতা দূর করার জন্য।

তিনি বলেন, শিশু রাজন হত্যা মামলা, রাকিব হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার দ্রুত বিচার করায় বর্তমানে শিশু নির্যাতন কমেছে। সরকার শিশু নির্যাতন কমানোর বিষয়ে সবসময় সচেষ্ট থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই প্রথম গৃহ নির্যাতন আইন প্রণয়ন করছে। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্যাতন বন্ধে নীতিমালা করেছে। আমরা মনে করি শিশুরা হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ। সেইক্ষেত্রে তারা ঠিকভাবে গড়ে উঠুক এটা আমাদের চিন্তা ভাবনার মধ্যে আছে।

এ সময় মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, যুগ্ম সচিব হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এমইউএইচ/এসএইচএস/এমএস