মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলে কোনো আপোষ করা হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের পটিয়ায় শেখ কামালের ৬৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এই কথা বলেন।প্রত্যেক মহাসড়কের পাশে বাইলেন তৈরি করার ঘোষণা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন মহাসড়কের পাশে তিন চাকার গাড়ীর জন্য বাইলেন তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জে মহাসড়কের পাশে বাইলেন তৈনি করা হয়েছে। বাইলেনে অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনভাবেই মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল করতে দেব না। এখানে আমার কোন স্বার্থ নেই। মানুষকে বাঁচানোর স্বার্থে আমি এ কাজ করছি। অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকায় গত সাতদিন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। ’মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে, মেট্রোরেল হচ্ছে, মহাসড়কগুলো সম্প্ররসারণ হচ্ছে। দেশের কোথাও কোনো রাস্তা খারাপ নেই। সব জায়গায় চকচকে ঝকঝকে রাস্তা। দেশে এত উন্নয়নের পরও দুর্ঘটনা কমছিল না। কারণ পরিবহনে শৃঙ্খলা না আসলে সব স্বপ্ন দুর্ঘটনায় পতিত হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী প্রাণহানি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সবার সঙ্গে আলোচনা করে মহাসড়কে অটোরিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্তে জনমত আছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হওয়ার পর দুঘর্টনা ঘটছে না। আমাদের সিদ্ধান্তে জনগণ লাভবান হচ্ছে। তাই জনগণ সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলছেন মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হওয়ায় অনেকের জীবিকা বন্ধ হয়েছে। আগে জীবন পরে জীবিকা। যেখানে জীবন থাকে না সেখানে কিসের মানবতা। মানবিকতা পরে আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে।’তিনি বলেন, ‘দেশে সাড়ে ২১ হাজার কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে মহাসড়কের পরিমাণ মাত্র সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার। আমরা শুধু মহাসড়কে অটোরিকশা নিষিদ্ধ করেছি। জাতীয় মহাসড়কে এগুলো চলবে না। শহরে ও জেলাগুলোতে তো নিষিদ্ধ করিনি।’এসকেডি/পিআর
Advertisement