সাতক্ষীরার আশাশুনি থানা পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই এএসআইয়ের নাম আলী হোসেন। তরিকুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে বলেন, চিংড়ি ঘের ইজারা নেয়াকে কেন্দ্র করে মামুন-অর-রশিদের সঙ্গে তার ছোট ভাইয়ের বিরোধ চলে আসছিল। আর এ বিরোধকে কেন্দ্র করে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মামুন-অর-রশিদ তার (অধ্যাপক জিএম তরিকুল ইসলাম) ডাকনাম জেনারুল ইসলাম ব্যবহার করে তাকেসহ ছােট ভাই মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা প্রবাসী ভাগ্নে বাপ্পি সরদার ও ফল ব্যবসায়ী ওমর গাজীসহ ৫ জনের নামে উল্লেখ করে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখকৃত ঘটনার তারিখে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। জিডিটি তদন্তের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলী হোসেনকে দায়িত্ব দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই আলী হোসেন জিডিটি ননজিআর মামলা দেখিয়ে গত ৩১ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার ধার্যদিন বুধবার। ৪ আগষ্ট তিনিসহ ৫ জনই আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে আদালত জামিন মজ্ঞুর করেন। ঘটনার তারিখে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন মর্মে দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ শংকর জোয়াদ্দার স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নপত্র আদালতে জমা দিয়েছেন।এ সকল বিষয় জানতে চাইলে এএসআই আলী হোসেন জানান, যথাযথ তদন্ত করেই আসামিদের বিরুদ্ধে ননজিআর প্রসিকিউশন দেয়া হয়েছে। আদালতে মোচলেকা দিলে মামলা খারিজ হয়ে যাবে। জানা গেছে, অভিযুক্ত এএসআই আলী হোসেন নাকশতা মামলার আসামি ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে ক্লোজড রয়েছেন।আশাশুনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা জানান, ওই তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অন্য ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে মিথ্যা মামলায় হয়রানির বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে কেউ অভিযোগ করলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এসএস/এমআরআই
Advertisement