বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাজরা ইশতিয়াক হোসেন বাহাদুরকে (৩২) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার ভোরে ভ্যানযোগে বাড়ি ফেরার পথে সাইনবোর্ড-কচুয়া সড়কের রাঢ়িপাড়া কাঁটা বটতলা এলাকায় তার ওপর এ হামলা চালায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা।
ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াক হোসেন বাহাদুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে কচুয়া বাজারের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অভ্যন্তরীণ সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
ছাত্রনেতার ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে তারা কচুয়ার জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। আহত ছাত্রনেতা ইশতিয়াক কচুয়া উপজেলা সদরের প্রয়াত বাশারত হাজরার ছেলে।
Advertisement
কচুয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দিহিদার আলী হোসেন সুজন বলেন, মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাজরা ইশতিয়াক হোসেন বাহাদুর পরিবহনযোগে ঢাকা থেকে কচুয়ার সাইনবোর্ড এলাকায় নামেন। সেখানে নেমে তিনি ব্যাটারিচালিত ভ্যানযোগে কচুয়ার বাড়িতে ফিরছিলেন। কাঁটা বটতলা এলাকায় পৌঁছলে ৫-৬ জনের একটি সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তার ভ্যানের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। ভ্যানচালক রুবেল এবং অন্য দুই যাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ইশতিয়াককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কজানক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
কচুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল কবির জানান, কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাজরা ইশতিয়াক হোসেন বাহাদুরকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। তার দুই হাত, দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী কারণে ইশতিয়াকের ওপর হামলা হলো তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
শওকত আলী বাবু/এএম/এমএস
Advertisement