প্রাধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে শিক্ষামন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দিলে তারা বাড়ি ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভূষণ রায়।
Advertisement
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিনটি প্রস্তাবনা জামা দিয়েছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শিক্ষকদের দাবির বিষয়টি তুলে ধরার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পিএস-২ ওয়াজেদ আক্তার আমাদের প্রস্তাবনাটি গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক। শিক্ষক-কর্মচারীরা দাবি আদায়ে গত একমাস ধরে রাস্তায় বসে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অবগত রয়েছেন। শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে আমাদের প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দ্রুত পৌঁছে দেয়া হবে বলেও ওয়াজেদ আক্তার নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও তিনি (পিএস) আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এই শিক্ষক নেতা আরও বলেন, এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরা গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহবার হোসেনের কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সরকারের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী আমাদের সুনির্দিষ্টভাবে আশ্বাস্ত করলে আমরা আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাব।
Advertisement
শিক্ষদের তিন প্রস্তবনার মধ্যে রয়েছে- স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে, বরাদ্দকৃত অর্থ অপর্যাপ্ত হলে বর্তমান অর্থবছরে সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও'র আওতায় এনে আশিংক বেতন চালু করে পরবর্তী অর্থবছরে তা সমন্বয় করণ এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা তৈরিতে এমপিওভুক্তির পর কমপক্ষে তিন বছর পর্যন্ত সময় দেয়া। এদিকে, এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রতিদিনের মতো শনিবার ১৬তম দিনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে বসে অমরণ অনশন পালন করে যাচ্ছেন আন্দোলকারীরা।
আন্দোলকারী শিক্ষকরা বলেন, এমপিওভুক্ত না হওয়ার কারণে আমরা খুব কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা না খেয়ে মরব। এ আন্দোলনে ২২৫ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রথম দিকে তারা হাসপাতাল গিয়ে ও স্যালাইন লাগিয়ে চিকিৎসা নেয়। বর্তমানে তারা অসুস্থ হলেও আর কোনো ধরনের চিকিৎসা নিচ্ছেন না। রাজপথে শুয়েই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে চান।
তারা বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন স্তরের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৫ হাজার ২৪২টি নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থীকে এসব প্রতিষ্ঠান পাঠদান দেয়া হলেও প্রায় ২০ বছর ধরে বিনা বেতনে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই ঘর-সংসার ছেড়ে পথে নেমে আন্দোলন করছি।
এমএইচএম/এমবিআর/পিআর
Advertisement