সেই ১৯৬৬ সালে একবার বিশ্বকাপ জয়। এরপর থেকে ট্রফিটা অধরাই রয়ে গেছে ইংল্যান্ডের। ছেষট্টির নায়করা তাই এখনও অমলিন ইংলিশ ফুটবলপ্রেমীদের মনে। এবার আরেকটি বিশ্বকাপ জয়ের খুব কাছে চলে এসেছে থ্রি লায়ন্সরা। দলের অধিনায়ক হ্যারি কেইনও প্রেরণা খুঁজছেন সেই নায়কদের থেকেই।
Advertisement
এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলছে ইংল্যান্ড, দুর্দান্ত খেলছেন হ্যারি কেইনও। টটেনহাম হটস্পারের এই স্ট্রাইকার ছয় গোল করে ১৯৮৬ সালে করা ইংল্যান্ডের গ্যারি লিনেকারের রেকর্ড ছুঁয়েছেন। বুধবার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতে নামবে থ্রি লায়ন্সরা। সেই ম্যাচে গোল পেলে কেইন ছাড়িয়ে যাবেন লিনেকারকেও।
এই বিশ্বকাপ কেইনকে ইতোমধ্যেই অনেক কিছু দিয়ে দিয়েছে। পানামার বিপক্ষে গ্রুপপর্বে হ্যাটট্রিক পেয়েছেন। তাতে জায়গা পেয়েছেন লিনেকার আর জিওফ হার্স্টের সঙ্গে। ওয়েস্ট জার্মানির বিপক্ষে ১৯৬৬ সালের ফাইনালে জয়ের নায়কও ছিলেন এই দুজন।
এবার নায়ক হওয়ার সুযোগ হ্যারি কেইনের সামনে। বিশ্বকাপজয়ী হার্স্ট তো তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করেছেন। তিনি এও মনে করছেন, সাউথগেটের এই দলটির তাদের মতোই আরেকবার শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা আছে।
Advertisement
কেনের মতে, ইংলিশ গ্রেটদের এই প্রেরণাটা অনেক বড় বিষয়। সুইডেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের পর ইংলিশ ফরোয়ার্ড বলছিলেন, '৬৬র কোনো নায়কের সঙ্গে দাঁড়াতে পারাটা তো হবে অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এটা বড় প্রেরণা। ইংল্যান্ড বড় কোনো টুর্নামেন্টে ভালো করেনি অনেক দিন। সাবেক খেলোয়াড়দের গর্বিত করতে পেরে আমিও গর্বিত। আমি নিশ্চিত, এটা তাদের সেই স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা নিজেদের ইতিহাস তৈরি করতে চাই। আশা করছি, আরও একধাপ এগিয়ে ফাইনালে যেতে পারব।'
১৯৯০ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। সেবার জার্মানির সঙ্গে ১-১ গোলের ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে হেরে যায় থ্রি লায়ন্সরা। এবারও কি সেই অতীতটা কিছুটা প্রভাব ফেলবে? হ্যারি কেইন অবশ্য তেমনটা মানতে নারাজ।
২৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার বলেন, 'সেটা যখন ঘটেছে, আমাদের অনেকের তখন জন্মই হয়নি। আমরা শুধু নিজেদের চেষ্টাটা করে যাব। আমরা একধাপ কাছে চলে এসেছি। পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এটাই এখন সবচেয়ে বড় ম্যাচ।'
এমএমআর/পিআর
Advertisement