ভ্রমণ

ভ্রমণ কেন মস্তিষ্কের জন্য জরুরি

কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। তাই ভ্রমণ করা অতীব জরুরি। কারণ বেশি সময় ধরে কিছু করলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে আসে! ফলে সে তখন বিশ্রাম চায়! এ সময় কোনো জায়গা থেকে একটু ঘুরে আসা যায়। তখন মস্তিষ্ক ফ্রেশ হয়।

Advertisement

ভ্রমণ মানেই শান্তি। পুরো সপ্তাহ কাজ শেষে ছুটির দিন এলেই মন ভালো হয়ে যায়। কোনো কাজ নেই, ভাবতেই মনে আনন্দ খেলা করে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, বেড়াতে যাওয়া শরীরের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং মস্তিষ্ককে উন্নত করে।

> আরও পড়ুন- ভ্রমণে যেসব সুফল পাবেন

ভ্রমণ মনের ক্ষুধা মেটায়। আমরা যতই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কাছে যাই, ততই আমাদের মন প্রশান্ত হয়। নিরিবিলি জায়গায় মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়। বনের গভীরে গেলে মস্তিষ্ক ভুলে যায় পার্থিব দুর্ভাবনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের মুড ভালো করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো অন্য বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া। মজার ব্যাপার হলো, আমরা যখনই এটা করি আমাদের মস্তিষ্ক তালে তালে ঠিকই পুরনো বিষয় ভুলে যায়!

Advertisement

এ নিয়ে একজন বিজ্ঞানী কিছুসংখ্যক মানুষের ওপর পরীক্ষা চালান। তাদের বনের মধ্যে হাঁটতে মাত্র দেড় ঘণ্টার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যেকের মস্তিষ্কের প্রিফন্টাল কর্টেক্স পরীক্ষা করা হয়। মস্তিষ্কের এ এলাকা মানসিক রোগের জন্য দায়ী। দেখা যায়, সেখানে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।

> আরও পড়ুন- ভ্রমণে নিজের যত্ন নিবেন যেভাবে

বিজ্ঞানীরা আরও জানান, একটি ভলান্টিয়ার গ্রুপকে শহরের বাইরে কিছুদিন অবস্থানের জন্য পাঠান। তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় নিজেদের সব ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রাখার। ফিরে আসার পর তাদের বেশকিছু জটিল এবং সৃজনশীল কাজ করতে দেওয়া হয়। দেখা যায়, তাদের সৃজনশীল ভাবনার ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

তাই মনকে প্রফুল্ল রাখতে, নিজের জীবনের সব জটিলতা ভুলতে ভ্রমণ অতীব জরুরি। সব সমস্যা থেকে দূরে পালিয়ে যান কিছুদিনের জন্য। অন্তত ১ দিন মস্তিষ্ককে আরামে রাখুন, সে আপনাকে দেবে কয়েকগুণ বেশি কাজ করার ক্ষমতা।

Advertisement

এসইউ/পিআর