আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করতে চান একসময়ের জনপ্রিয় চিত্র নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। গাজীপুর ৫ আসন, কালীগঞ্জ থেকে এমপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রে যুক্ত হওয়ার আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ফারুক। এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণও জানিয়েছেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা।
Advertisement
ফারুক বলেন, ‘আমি গাজীপুর ৫ আসন, কালীগঞ্জ থেকে নির্বাচন করতে চাই। আমি অনেক কিছু জীবনে পেয়েছি। এখন মানুষের হয়ে কাজ করতে চাই। শুধু চলচ্চিত্র নয়, সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকবে তখন। মানুষের প্রয়োজনে মানুষের সঙ্গে থেকে বাকি জীবনটা পার করতে চাই। মেহনতি মানুষের হয়ে কাজ করতে চাই। এতদিন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মানুষের জীবন তুলে ধরেছি। বাকি দিনগুলো সেই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে চাই। আওয়ামী লীগের হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। সমাজের যে কোন সমস্যায় সবার পাশে থাকতে চাই।’
গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬’ প্রদান অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ফারুক বলেন, ‘স্বৈরশাসক এরশাদের আমলে একবার চলচ্চিত্রের ২৫ বছর পূর্তি উৎসব হয়েছিল এফডিসিতে। সেখানে আমাকে আনার জন্য প্রশাসনের লোক বাসায় গিয়েছিল। তারা আমার কাছে জানতে চায়, আমি নাকি সব অনুষ্ঠানে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম বলি। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম বলতে পারব না। তখন আমি বলেছিলাম যে বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি রাষ্ট্র দিয়েছেন, বিনোদনের জন্য দিয়েছেন বিএফডিসি। আর তার গড়ে দেওয়া বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে উনাকে স্মরণ করতে পারব না, সে হয় না। আমি যদি অনুষ্ঠানে যাই, তবে সেখানে আমি অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর নাম বলব। তাকে স্মরণ করেই বক্তব্য রাখব। তারপর আমি ১৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছি; কিন্তু আমাকে কখনো পুরস্কার দেওয়া হয়নি, কারণ আমি বঙ্গবন্ধুর নাম বলি। ৫৭ বছর ধরে বলছি। এবার আমি অফিশিয়ালি বঙ্গবন্ধুর কথা সবার কাছে বলতে চাই।’
ফারুক আরো বলেন, ‘আমি জীবনে কোন কাজেই কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবিনা। আর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাকে নমিনেশন দেবে, তিনি নির্বাচন করবেন। এখানে অন্য কোন দল বা আওয়ামী লীগের কাউকে আমি প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি না। আমার এলাকায় আমার গ্রহণযোগ্যতা আছে। সারা বছরই আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। ’
Advertisement
ফারুককে গতকাল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে যৌথভাবে একই সম্মাননা দেওয়া হয় নায়িকা ববিতাকে।
এমএবি/এলএ/আরআইপি