রাজন নামের এক গ্রাহককে ক্যারিয়ার ব্র্যান্ডের একটি এয়ার কন্ডিশনের (এসি) ছবি দেখিয়ে বাড়িতে অন্য মডেলের এসি পাঠালো দেশের অনলাইন শপিং সাইট দারাজ। কাঙ্ক্ষিত এসি না পেয়ে তা বদলে দেয়ার অনুরোধ করলে গ্রাহককে তোয়াক্কা করেনি দারাজ। ইনস্টলেশন করা পণ্য ‘ফেরত নেয়া হয় না’ বলে জানানো হয় তাকে।
Advertisement
সম্প্রতি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে এ বিষয়ে একটি মামলা করেছেন রাজন। মামলা আবেদনের রশিদ নম্বর- ৭৪০৪৭১৬৮৯৬৩৪০৯
রাজন নামে ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তিনি দারাজ থেকে ১৭ জুন ৩৫ হাজার ৯৯০ টাকার একটি ক্যারিয়ার এসি অর্ডার করেন (অর্ডার নম্বর- ৩০৭৭১১৬৬৬)। জুনের ২২ তারিখ এসি’র ডেলিভারি পান। ২৫ তারিখ এসি ইন্সটলেশনের পর তিনি দেখেন এটি তার অর্ডার করা এসি নয়। ক্যারিয়ার ব্র্যান্ডের স্টিকার থাকলেও এটি ছিল অন্য মডেলের।
সেদিনই তিনি দারাজকে ই-মেইল করে বিষয়টি অবগত করেন। কিন্তু ২৬ জুন তারা ফোনে রাজনকে জানান, যে এটি পরিবর্তন সম্ভব নয়। কয়েকদফা মেইল চালাচালি, বিভাগীয় অভিযোগ ৩০ জুন রাজনকে ফোন করে জানানো হয়, এসি ফেরত সম্ভব না। প্রতিশ্রুত পণ্য না পাওয়ায় রাজন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে একটি মামলা দায়ের করেন।
Advertisement
এ বিষয়ে রাজন জাগো নিউজকে বলেন, আমাকে যেই এসি দেয়া হয়েছে সেটির সঙ্গে চাইনিজ সিগো ব্র্যান্ডের এসির হুবহু মিল রয়েছে। শুধু সিগোর স্টিকারের জায়গায় ক্যারিয়ারের স্টিকার লাগানো। বাংলাদেশের কয়েকটি ই-কমার্স সাইটে গিয়ে দেখলাম আমার মডেলের সিগো এসিটি মাত্র ৩৪ হাজার টাকা। এসিটি ইনস্টলেশনের সময় ইলেক্ট্রিশিয়ানরা আমাকে দুই-একটি ছোটখাট জিনিস কিনে আনতে বলে। আমি সেগুলো কিনে আনতে ব্যস্ত হওয়ায় এসিটি দেখতে পারিনি। তারা যাওয়ার পরপরই আমি অর্ডার দেয়া এসির ছবির সঙ্গে এটিকে মেলানোর চেষ্টা করি। প্রতারিত হয়েছি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে দারাজকে জানাই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় আমি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে মামলা দায়ের করি।
গ্রাহককে এসি বদলে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দারাজ বাংলাদেশের এক্সজিকিউটিভ কপিরাইটার ও মুখপাত্র প্রিয়াম চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘ক্রেতার অসন্তুষ্টির প্রতি নজর রেখে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে এবং দারাজ আন্তরিকভাবে দুঃখিত বিষয়টি এতদূর আসার জন্য। ক্রেতার এরূপ ভোগান্তির প্রতি সমবেদনা জানিয়ে, দারাজ ক্রেতাকে নতুন এসি ডেলিভার করবে এবং বিনামূল্যে নতুন এসিটি ইন্সটল করে দেবে।’
তিনি আরও বলেন, গ্রাহকদের সন্তুষ্টি এবং উন্নত সেবা প্রদানই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তবে আগামীবার আমরা ক্রেতাকে অনুরোধ করবো পণ্য ডেলিভারি পাওয়ার সাথে সাথে যেন পণ্যটি চেক করে নেয়া হয়।
এর আগে ২০১৭ সালের পণ্য ফেরতে গড়িমসি, ভুয়া বিজ্ঞাপন, অর্ডারকৃত পণ্য যথাযথ সময়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে না দেয়াসহ নানা অভিযোগে দারাজ বাংলাদেশকে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা-সংরক্ষণ অধিদফতর।
Advertisement
এআর/এসএইচএস/পিআর