প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি লোকজন জড়িত অভিযোগ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, প্রশ্ন ফাঁস রোধে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। তবে সংশ্লিষ্ট যেসব আইন রয়েছে তা প্রয়োগের দৃষ্টান্ত নেই। বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। "পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস: প্রক্রিয়া, কারণ ও উত্তরণের উপায়" শীর্ষক গবেষণা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশের পর তিনি এসব কথা বলেন। প্রশ্ন ফাঁসকে সরকারের সফলতার ঘাটতি উল্ল্যেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সহস্যাব্দ লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষা অন্যতম খাত হলেও প্রশ্ন ফাঁসসহ নানা কারণে শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে টিআইবি সঙ্কিত। তিনি বলেন, প্রাইমারী, উচ্চ মাধ্যমিক, বিজি প্রেস, জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তা, কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা ও প্রতিষ্ঠান সরকারি ভাবে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। অন্যদিকে, বেসরকারিভাবে মুনাফা অর্জনের সুযোগধারীরা ও সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ কাজের সঙ্গে জড়িত। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, কোচিং সেন্টারগুলো পরিচালনার নীতিমালা ও গাইড প্রনয়ণে নীতিমালা হলেও এর কোন প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়নি। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে প্রশ্ন ফাঁসের দায় অস্বীকার করতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, টিআইবির উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের, টিআইবির রিসার্চ এন্ড পলিসির পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান, রিসার্চ এন্ড পলিসির ডেপুটি ম্যানেজার নিহার রঞ্জন রায়, নীনা শামসুন নাহার, রুমানা শারমিন।# ৪ বছরে ৬৩টি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে : টিআইবিএমএম/এএইচ/পিআর
Advertisement