ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা নাজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র আলাউদ্দিন মাতুব্বর অন্তরের খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
Advertisement
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনের মুজিব সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অন্তরের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় দুই শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্যকালে অন্তরের মা জান্নাতি বেগম বলেন, নাড়ীছেড়া ধন আমার বুকের মানিককে যারা হত্যা করেছে তাদেরকেও দ্রুত ফাঁসি দেয়া হোক। মৃত্যু যন্ত্রণা কতটা ভয়াবহ আর মায়ের কোল খালি করার অনুভূতিটা তারাও বুঝুক। হত্যাকারীরা আমার বুকের মানিককে নির্মমভাবে হত্যার পর আবার আমার আশপাশ দিয়েই ঘোরাফেরা করেছে, আমাকে শান্তনা জানিয়েছে। কতটা পাষাণ হলে মানুষ এমনটি করতে পারে। কারা কীভাবে এ কাজটি করেছে তা পুলিশের কাছে পরিষ্কার। আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছে হত্যাকারীরা। এদের কঠোর শাস্তি না হলে আর কার বিচার করবে আদালত!
স্থানীয় গ্রামবাসী আলমগীর হোসেন বলেন, অন্তরের হত্যার সঙ্গে জড়িত খোকন, সুজন, জুবায়ের, মাহবুব ও কামালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও ১৬ জন পলাতক রয়েছে। এদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় তারা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। তিনি মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Advertisement
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- মুফতি সালমান ফরিদী, আলমগীর হোসেন, ওদুদ শেখ, অন্তরের দাদী ভানু বেগম, চাচী রিভা খাতুন ও মা জান্নাতি বেগম।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন তারাবী নামায পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় তালমা নাজিম উদ্দিন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ও উপজেলার তালমা ইউনিয়নের পাগলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা গ্রিস প্রবাসী আবুল হোসেন মাতুব্বরের ছেলে অন্তর। এর পরে ছেলেকে অপহরন করা হয়েছে বলে অন্তরের মায়ের মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপন দাবি করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপনের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকাও দেয় অন্তরের মা। প্রায় ১৯ দিন পর পাগলপাড়া গ্রামের মাঠ থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অন্তরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অন্তরের মা জান্নাতি বেগম বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরএ/পিআর
Advertisement