সারাবিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি মেধাবী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা এত মেধাবী, আমি মনে করি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরাই সবচেয়ে মেধাবী।’
Advertisement
রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিজয়ী ১২ শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ওই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে-বিদেশে বহু জায়গায় গিয়ে আমার এ অভিজ্ঞতা হয়েছে। গ্রাম বাংলায় সোনার টুকরো ছড়িয়ে আছে। আমরা সেই সোনার টুকরোগুলো খুঁজে বের করছি। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি দেখেছি আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের ছেলে মেয়েদের দুই-দুইয়ে কত হবে জিজ্ঞেস করলে গুনতে বসবে, কিন্তু আমাদের ছেলে-মেয়েরা সহজেই বলে ফেলবে চার।
Advertisement
শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবীদের দেশে বিদেশে কাজের সুযোগ করে দেয়া হবে। যাতে তারা নিজেদের মেধা মননের প্রতিফলন ঘটাতে পারেন। আমি এইটুকু আশা করবো যে, আমাদের ছাত্ররা মন দিয়ে পড়ালেখা করবে। দেশের জন্য কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষার সামগ্রিক মানোন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি কুদরত-ই-খুদা কমিশন গঠন করেছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরপর শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবদিক থেকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়। পঁচাত্তরের পর অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা শিক্ষার মানোন্নয়নে কোনো কাজ করেনি। তারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়।
আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের ছেলে মেয়েদের প্রতিযোগীতায় টিকে থাকার জন্য নতুন নতুন বিষয় সংযোগ করতে হবে।
দেশব্যাপী সুপ্ত প্রতিভার খোঁজে ষষ্ঠবারের মতো বিভিন্ন উপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে অংশ নেয়ার পর জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।
Advertisement
এবারের প্রতিযোগিতায় ১০৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সেরা ১২ জনকে বাছাই করা হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম, নবম থেকে দশম এবং একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভাগ হয়ে তিনটি গ্রুপের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
এইউএ/এনএফ/পিআর