জাতীয়

এমপিওভুক্তি : দাবি আদায়ে আরও কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি

স্বীকৃতি পাওয়া দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা আরও কঠোর কর্মসূচির কথা ভাবছেন।

Advertisement

নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা বলছেন, দ্বিতীয় দফায় আন্দোলনের আজ ২৯তম দিন। আমরণ অনশনের ১৪তম দিন চলছে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চলছে। দাবি একটাই- নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় এতো দিনেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা।

রোববার বেলা ১১টায় আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি এমপিওভুক্তি। যথাযথ শর্ত মেনেই ২৭ হাজার নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি মিলেছিল। কিন্তু মেধা-শ্রম দিয়েও বেতন পায় না শিক্ষক-কর্মচারীরা। কারণ এমপিওভুক্তি না থাকা। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণাকে সাধুবাদ জানানেও জারি করা এমপিও নীতিমালা-২০১৮ মানতে রাজি নন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের দাবি, আগে এমপিওভুক্তি করা হোক, এরপর সব ধরনের শর্তই মানতে রাজি তারা।

আগামীকালের মধ্যে যদি সুস্পষ্ট কোনো ঘোষণা না আসে তবে আমরণ অনশনের চেয়েও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানান নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়।

Advertisement

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমরা আর কী করতে পারি? শিক্ষক হয়ে তো আর আন্দোলনের নামে হাঙ্গামা করতে পারি না। অথচ সেই সুযোগটাই বুঝি নেয়া হচ্ছে। আমরা আর কতো সহ্য করবো? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে, ক্লাশ পরীক্ষা বর্জন করে, বাড়ি-ঘর-সংসার-পরিবার ছেড়ে ঢাকায় ২৯ দিন হচ্ছে। কাল এক মাস হবে। আমরা যদি দাবি আদায়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না পাই তবে আরও কঠোর কর্মসূচি দেবো। এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প দেখছি না।

সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী বলেন, আমাদের আমরণ অনশন কর্মসূচি দেখেও যেন না দেখার ভান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। আর কোনো সময়ক্ষেপন আমরা মানবো না। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচির কথা ভাবছি। আগামীকাল পর্যন্ত দেখবো। এরপর শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গ আলোচনা করে সুস্পষ্ট কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

একাধিক শিক্ষক-কর্মচারী জাগোনিউজকে জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও, স্মারকলিপি প্রদান, বিশিষ্টজনদের কাছে দাবি আদায়ে ভূমিকা রাখতে খোলা চিঠি দেয়ার কথাও ভাবছেন তারা।

লিখিত এক বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী বলেন, আমরা ঈদ করেছি রাস্তায়। ২৯ দিনেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা সরকারের ঊর্ধ্বতন কেউ আমাদের সমবেদনা জানাতে পর্যন্ত আসেননি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ২ শতাধিক শিক্ষক অসুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে ফের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। শিক্ষকরা আর চিকিৎসা নিতে চান না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রয়োজনে ধুকে ধুকে নিঃশেষ হয়ে যাবেন তবুও রাজপথ ছাড়বেন না।

Advertisement

দাবি আদায়ে গত ১০ জুন থেকে রাজপথে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন এই শিক্ষক-কর্মচারীরা।

জেইউ/এনএফ/এমএস